একশো বছরে এই প্রথম অনুষ্ঠিত হল না বিজ্ঞান কংগ্রেসের সম্মেলন। সাধারণত প্রতিবছর ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এই সম্মেলন, চলে পাঁচদিন। কিন্তু এবছর নির্ধারিত সময়ে শুরু হল না সম্মেলন। পরবর্তীতে হবে কিনা, তাও নিশ্চিত নয়।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে করোনার জন্য অনুষ্ঠিত হয়নি বিজ্ঞান কংগ্রেসের সম্মেলন। ২০২৩ সালে হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর হল না সম্মেলন। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের সঙ্গে বিজ্ঞান কংগ্রেসের আয়োজকদের মতবিরোধ এই সম্মেলন না হওয়ার কারণ হতে পারে।
ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিবছর বিজ্ঞান কংগ্রেসের আয়োজন করে। এটি একটি নথিভুক্ত সংস্থা। প্রায় ৩০ হাজার বিজ্ঞানী এই সংগঠনের সদস্য। ১৯১৪ সালে কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে প্রথম বিজ্ঞান কংগ্রেসের সম্মেলন হয়েছিল। বিজ্ঞান কংগ্রেস প্রতি বছর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতি বছর সশরীরে উপস্থিত থাকলেও ২০২৩ সালে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিজ্ঞান কংগ্রেসের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। কিন্তু টাকা-পয়সার লেনদেনে অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরকার ও ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। তার জেরেই এবারের বিজ্ঞান মহাসভা ধাক্কা খেল বলে জানা যাচ্ছে।
বিজ্ঞান কংগ্রেসে সরকারি তহবিলের টাকা ব্যবহার করা যাবে না বলে কেন্দ্রের তরফে যে নির্দেশিকা এসেছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতেও যায় সংস্থাটি। তবে এখনও পর্যন্ত আদালত সেই বিষয়টি নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি।
বিজ্ঞান কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি রঞ্জিতকুমার বর্মা জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যক্রমে এ বছর বিজ্ঞান মহাসভা হচ্ছে না। তাই বলে সম্মেলেনের শেষ নয় এখানেই। ৩১ মার্চের আগে বিজ্ঞান মহাসভার আয়োজন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি। পাশাপাশি, চলতি বছরের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতি নিয়েও আশাবাদী তিনি।
তবে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এবছরের খরচ-খরচা নিয়ে মতবিরোধ হয়েছে। তাই বলে বিজ্ঞান মহাসভা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন নয়। বরং ২০২৫ সালের বিজ্ঞান মহাসভা নিয়ে আলোচনা চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন