ভারতীয় স্থলভাগের (সমস্ত রাজ্য জুড়ে) প্রায় ৬০ শতাংশই ভূমিকম্প প্রবণ। বুধবার লোকসভায় এই কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞান দপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) জিতেন্দ্র সিং।
তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন - ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS)-র তৈরি সিসমিক জোন মানচিত্র (seismic zoning map) অনুসারে ভারতকে মোট চারটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন - II, III, IV এবং V। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হল V এবং অঞ্চল II সবচেয়ে কম ভূমিকম্প প্রবণ। দেশের প্রায় ১১ শতাংশ অঞ্চল V-র মধ্যে পড়ে। IV-র মধ্যে পড়ে ১৮ শতাংশ অঞ্চল, III-র মধ্যে পড়ে ৩০ শতাংশ অঞ্চল এবং বাকি অঞ্চলগুলি পড়ে II-র মধ্যে।
এদিন ভূমিকম্পের পাশাপাশি সংসদে অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে এনেছেন বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা। সেগুলি হল:-
১) ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা - ২০২২ সালে বর্ষা আসার আগের মাসগুলিতে সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন এবং গড় তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৪.৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২২.৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২৮.৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ, ১৯৮১ সাল থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বর্ষা আসার আগের মাসগুলিতে সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন এবং গড় তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৩.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২১.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২৭.৬১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
২) কয়লা ভিত্তিক শক্তি - কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক, কয়লা ও খনি মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী লোকসভায় বলেন, প্রাথমিক শক্তির মিশ্রণে কয়লার ভাগ ২০০৯-১০ সালের মধ্যে ছিল ৪২ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৫.৫৬ শতাংশ। দেশে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের ৭২ শতাংশের বেশি আসে লিগনাইট কয়লা থেকে।
৩) ইথানল উৎপাদন ক্ষমতা - কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন এবং উপভোক্তা বিষয়ক তথা খাদ্য ও জনবন্টন বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির কথায়, পেট্রোল এবং অন্যান্য জ্বালানির সাথে ইথানলের মিশ্রণ ব্যবহারের ফলে বর্তমানে সারা দেশে ইথানল উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় ৯.৪৭ বিলিয়ন লিটার। এর মধ্যে গুড়ভিত্তিক ইথানল উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৬.১৯ বিলিয়ন লিটার এবং শস্য-ভিত্তিক ইথানল উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৩.২৮ বিলিয়ন লিটার।
৪) বনবাসী সম্প্রদায়ের দাবি - ২০০৬ সালের তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বনবাসী (বন অধিকারের স্বীকৃতি) আইনের ৩ নং ধারা অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ১,৬৯,২৬০টি বনজ সম্পদ সংক্রান্ত বনবাসী সম্প্রদায়ের দাবি দায়ের করা হয়েছে। রাজ্যসভায় একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু।
৫) উত্তর-পূর্ব ভারতে ভূমিহীন আদিবাসী পরিবার - কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেনুকা সিং সারুতা রাজ্যসভায় বলেছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের গ্রামীণ পরিবারগুলির মধ্যে প্রায় ৫৯ শতাংশের কাছে কোনও জমি নেই। ২০১১ সালের আর্থ-সামাজিক ও জাতি শুমারি রিপোর্ট পেশ করে একথা জানিয়েছেন রেনুকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন