নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করতে চাইত সে।রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেতে চাইতো। তা থেকেই ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ তৈরির ভাবনা আসে তার। নীরজ বিষ্ণোইয়ের ঘটনার তদন্ত করতে এসে এমনই তথ্য এল দিল্লি পুলিশের হাতে এসেছে।
অ্যাপ তৈরির মূল কারিগর নীরজকে অসমের জোড়হাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় নীরজ বিষ্ণোইকে তার জঘন্য কাজের জন্য কোনও অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি। উল্টে তার দাবি, সে ‘সঠিক’ কাজ করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে বিতর্কিত বুল্লি বাই অ্যাপ তৈরি করেছে। এই অ্যাপে মূলত মুসলিম মহিলাদের নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট ও তাঁদের হেনস্থার মত বিষয়বস্তু পোস্ট করা হত।
তবে, পুলিশ জানিয়েছে যে, নীরজ বিষ্ণোইকে দিয়ে কেউ ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপে মহিলাদের নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট করাতো, তার প্রমাণ মেলেনি। আগে একই রকম একটি মামলা, অর্থাৎ, ‘সুল্লি ডিলস’ এর সঙ্গেও নীরজের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করেছিল দিল্লি পুলিশ।
নীরজ যে ডিভাইস ব্যবহার করত, সেটিকে সাইবার শাখা স্ক্যান করে দেখছে। তার হাত ধরে ‘সুল্লি ডিলস’র মাথা অবধি পৌঁছনো যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে, আশ্চর্যভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম জেলায় নথিভুক্ত একটি মামলায় মহিলা সাংবাদিকের দায়ের করা অভিযোগে বিষ্ণোই নিজেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেয়।
অভিযোগ দায়েরের পর বিষ্ণোই দিল্লি পুলিশের সাইবার শাখাকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করেছিল। সেখানে সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়। তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানাই তার উদ্দেশ্য ছিল বলে পুলিশের অনুমান। তবে, বিষ্ণোই এর আগেও টুইটারে একটি ভুয়ো প্রোফাইল খুলেছিল। যেখানে অভিযোগকারীর ছবিতে বিকৃত মন্তব্য করেছিল।
পুলিশি জেরায় 'বুল্লি বাই' অ্যাপ তৈরির কথা স্বীকার করেছে নীরজ। বুল্লি বাইয়ের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি, গিটহাব সফ্টওয়্যার ডেভলপিং সিস্টেম ব্যবহার করে অ্যাপটি তৈরি করেছে গত বছর নভেম্বর মাসে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন