ভারতীয় কৃষকরা উষ্ণ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার তাগিদে এবার সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় বংশোদ্ভুত গবেষকদের একটি দলের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আগামী কয়েক দশকেও যদি এই রীতি সমানভাবে বজায় থাকে তাহলে ২০৮০ সালের মধ্যে ভারতের ভূগর্ভস্থ জল হ্রাসের হার প্রায় তিনগুন হয়ে যাবে। যা পরবর্তীকালে ভারতের খাদ্য ও জলের সুরক্ষার উপর বড়সড় প্রশ্ন তুলতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ওই সমীক্ষা বলছে, ভূগর্ভস্থ জলের অবক্ষয় ও জলবায়ুর পরিবর্তন ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকাকে সংকটের মুখে ফেলতে পারে এবং এর প্রভাব গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ, ভারত বিশ্বের মধ্যে চাল ও গম-সহ সাধারণ শস্যের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ উৎপাদক।”
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সাস্টেনিবিলিটি’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তথা বরিষ্ঠ লেখক মেহা জৈন এই নিয়ে জানিয়েছেন, “উষ্ণতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ভারতের কৃষকরা সেচের কাজেও ভূগর্ভস্থ জলের যথেষ্ট ব্যবহার শুরু করেছে বলেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে। এই অভিযোজনগত কৌশল অবশ্য ভারতের ভূগর্ভস্থ জলের অবক্ষয় নিয়ে করা পূর্বের সমীক্ষাগুলিতে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়নি।”
একটি বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে তিনি আরও জানিয়েছেন, “এটি প্রচণ্ড উদ্বেগের একটি বিষয়, কারণ ভারত বিশ্বের ভূগর্ভস্থ জলের সর্ববৃহৎ গ্রাহক। এবং এটি শুধু ভারতের জন্য না, অবশ্যম্ভাবীভাবে আঞ্চলিক ও গোটা বিশ্ব ব্যাপী খাদ্য সরবরাহের জন্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন