টেলিভিশনে কেবল রিচার্জ করেও একাধিক চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন না দর্শকরা। সে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিই হোক কি প্রিয় সিরিয়াল। সমস্ত দেশজুড়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন উপভোক্তারা। কিন্তু সমস্যা মিটবে কবে? তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামছে কেবল অপারেটররা।
বিগত চারদিন ধরে সেট টপ বক্স গুলিতে ব্যালেন্স থাকা সত্বেও একাধিক চ্যানেল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া চ্যানেলগুলিতে একটি বিজ্ঞপ্তি ভেসে উঠছে। যাতে লেখা রয়েছে, “প্রিয় গ্রাহক, TRAI থেকে জারি করা নতুন শুল্ক (NTO) অনুযায়ী Broadcaster দ্বারা নির্ধারিত দামের বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য এই চ্যানেলটি Broadcaster থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, আমরা এই বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবং গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সবরকম চেষ্টা করতে সেচেষ্ট এবং প্রয়োজনীয় আইনের পদক্ষেপ নিতে সচেষ্ট। আপনার একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।”
কেবল অপারেটরদের অভিযোগ, ট্রাই এনটিও-৩ নামে একটি নির্দেশিকা কার্যকরী করেছে। যার ফলে স্যাটেলাইট চ্যানেল ব্রডকাস্টাররা চ্যানেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাই বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রতিবাদ না করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন কেবল অপারেটররা। তারা (কেবল অপারেটর) দামবৃদ্ধি নিয়ে কোনো চুক্তিপত্রে সই করেনি।
কবে এই সমস্যা দূর হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই অচলাবস্থার ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে গ্রাহক সহ স্থানীয় কেবল অপারেটরদের। কারণ গ্রাহকরা অর্থ দিয়েও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে কেবল অপারেটরদের ওপর। তারাও কাজ হারানোর আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। বলে রাখা ভালো, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ কেবল ব্যবসার সাথে যুক্ত আছে।
আরও জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের পর থেকে তিনবার নতুন নতুন নিয়ম আনা হয়। কিন্তু প্রতিবার দেখা যায় চ্যানেল পিছু খরচা বেড়ে যায়।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সাতটি রাজ্যের হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। ট্রাইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজ্যে মঙ্গলবার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে কেবল অপারেটররা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন