বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি ঘূর্ণাবর্তটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, তা নিয়েই এখন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে। প্রথমে অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়ার কথা জানা গেলেও, ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান দেখে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করছেন আবহবিদরা। বরং পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে আছে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের মনে ক্রমশ আতঙ্ক সৃষ্টি করছে ঘূর্ণিঝড় 'মোচা'। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরের উপর যে ঘূর্ণাবর্তটি সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাবে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হবে ৮ মে। তার পর সেটি ৯ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৯-১০ মের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, যার নাম হবে 'মোচা'। আগামী সপ্তাহেই ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে স্থান এখনও নির্দিষ্ট করে বলেনি মৌসম ভবন। ঘূর্ণাবর্তটি বঙ্গোপসাগর থেকে যদি দক্ষিণ মায়ানমারের দিকে এগোয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশাতে খুব তাড়াতাড়ি আছড়ে পড়বে। বর্তমানে কলকাতা থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণাবর্তটি।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশাতেই পড়বে না, এর ফলে তামিলনাড়ু ও কেরালা উপকূলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, সিকিম, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলপ্রদেশ, মেঘালয়, আসামেও ঘূর্ণিঝড়ের যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। এই রাজ্যগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত এবং ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের রবিবার বিকেলের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে মৌসম ভবন।
'মোচা'র ফলে তামিলনাড়ু, ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কতটা কী ক্ষতি হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে, ওড়িশা সরকার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা নিয়ে রেখেছে। উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনও তৎপর রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন