মরক্কোর ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো প্রায় ৩০০০। আহত ২৫০০-র বেশি। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছে অনেকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চলছে।
গত শুক্রবার মাঝরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মরক্কোর মারাকেশ অঞ্চল। কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৮। যত সময় গড়াচ্ছে ততই যেন মৃত্যু মিছিল চোখে পড়ছে। একের পর এক বাড়ির নীচ থেকে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ এমনকি বাড়ির পোষ্যদের দেহও উদ্ধার হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। উদ্ধার কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে আরব আমিরশাহি, ব্রিটেন এবং স্পেনের সেনাবাহিনী।
ক্ষতিগ্রস্ত ও উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, খাদ্যের অভাব রয়েছে এলাকা জুড়ে। চারিদিকে শুধু হাহাকার। প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখানউচ বলেন, সোমবারই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সকলকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে। যাঁরা নিজেদের ঘর বাড়ি হারিয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
রেড ক্রস সূত্রে খবর, মরক্কোর মারাকেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে পুনরায় গঠন করতে বেশ কিছু বছর সময় লাগবে। সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ স্পেন, কাতার, ব্রিটেন এবং আরব আমিরশাহিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক কালে এত ভয়ানক ভূমিকম্প দেখেনি মরক্কো। ১৯৬০ সালে মরক্কোর আগাদির শহরে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.৮। মৃত্যু হয়েছিল ১২,০০০-১৫,০০০ জনের। ১২,০০০-র বেশি আহত হয়েছিলেন। আবার ২০০৪ সালে উত্তর-পূর্ব মরক্কোর আল হোসেইমা ভূ-কম্পনে কেঁপে উঠেছিল। সেই সময় ৬২৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং প্রায় ১,০০০ জন আহত হয়েছিলেন।
শুধু মারাকেশই নয় উপকূলবর্তী শহর রাবাত, কাসাব্লাঙ্কা এবং এসাউইরাতেও কম্পন অনুভূত হয়। এই এসাউইরা হচ্ছে মারাকেশ থেকে ২০০ কিমি পশ্চিমে অবস্থিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন