রাশিয়া ও ইউক্রেনের মানুষের পাশে থাকতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অনুদান দিন। এমনই ট্যুইট করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা! কিন্তু না তিনি বা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া টিম এই পোস্টটি করেনি। রবিবার সকালে তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলটি হ্যাক হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পোস্টের সময় দেখাচ্ছে, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ। তাতে ইংরাজিতে লেখা ছিল, আপনি রাশিয়ার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইলে বিটকয়েন ইথেরিয়ামের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অনুদান করুন। পরের লাইনেই আবার হিন্দিতে লেখা ছিল, ইউক্রেনের মানুষের পাশে দাঁড়ান। এখন ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও অনুদান নিচ্ছি।
স্বাভাবিকভাবেই এরকম একটি পোস্ট দেখে হকচকিয়ে যান নেটিজেনরা। চমকের প্রধান কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের জন্যই সাহায্য চাওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় কারণ সাহায্য চাওয়া হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। এর খানিক পরেই নাড্ডার ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে আর একটি ট্যুইট করা হয়। সেখানে বলা হয়, 'দুঃখিত আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। আমি রাশিয়ার জন্য অনুদান চাইছি, ওদের সাহায্য দরকার।'
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়, 'দলের সর্বভারতীয় সভাপতির ট্যুইটার হ্যান্ডেল খানিকক্ষণের জন্য হ্যাক হয়। এখন সেটা ঠিক করা হয়েছে।' কে বা কারা হ্যাক করল, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই হ্যাকিংয়ের ঘটনার পিছনে বিটকয়েন মাফিয়াদের হাত থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। বেশ কয়েকবার হ্যাক হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল। গত ডিসেম্বর মাসেই মোদির নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও হ্যাক হয়ে গিয়েছিল।
তাৎপর্যের বিষয়, দুই ক্ষেত্রেই ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ত্রাণ সংগ্রহের অনুদান চাওয়া হয়েছিল। সেবার করোনার ত্রাণ তহবিলের জন্য অনুদান সংগ্রহের নামে টাকা তোলার চেষ্টা করা হয়। তদন্ত করে দেখা যায় যে, সেই ঘটনার নেপথ্যে বিটকয়েন মাফিয়ারা। তাই এবারও সেই বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন