ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ভেরিফিকেশন চিহ্ন অক্ষত রাখতে এবার থেকে গুনতে হবে মাশুল। মাসিক প্রায় ৮ ডলারের সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে ব্লু-টিকধারী ব্যক্তিদের।
ট্যুইটারের নতুন মালিক হয়েই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছেন এলন মাস্ক। আগে থেকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবার থেকে ট্যুইটার ব্যবহার করতে গেলে মূল্যদিতে হবে। তবে আগে শোনা গিয়েছিল ৪.৯৯ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪০৯.০৯ টাকা ব্লু-টিক বজায় রাখার জন্য দিতে হবে। কিন্তু তার বদলে এখন দিতে হবে ৭.৯৯ মার্কিন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় ৬৫৫.০৪ টাকা। অর্থাৎ বার্ষিক প্রায় ৮ হাজার টাকার কাছাকাছি।
শনিবার ট্যুইটার জানিয়েছে, অ্যাপল ব্যবহারকারীরা আপডেটের পর সাইন আপ করলে নিজেদের অ্যাকাউন্টের পাশে ভেরিফিকেশন চিহ্ন দেখতে পাবেন। ঠিক যেমন সেলিব্রিটি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টের পাশে দেখা যায়।
অনেকেই সেলিব্রিটিদের নাম ও ছবি দিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার ছক কষেন। তা প্রতিহত করতেই ২০০৯ সালে ভেরিফিকেশন নিয়মটি চালু করে ট্যুইটার। বর্তমানে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে সেলিব্রিটি, ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিবিদ, সরকারি সংস্থা, বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া সংস্থা, একাধিক সাংবাদিক, ব্যবসায়ীদের অ্যাকাউন্টই বেশি।
এছাড়া, ট্যুইটারের হোম পেজ (Home Page) পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলন মাস্ক। ট্যুইটার থেকে লগআউট হয়ে যাওয়ার পরে সেখানে ট্রেন্ডিং খবর দেখা যায়। হোম পেজে সাইন ইন বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অনুরোধ আসত। তবে, ট্যুইটারের নতুন হোম পেজ কেমন হবে তা জানা যায়নি এখনও।
উল্লেখ্য, নতুন দায়িত্ব নিয়েই ট্যুইটারে গণছাঁটাই শুরু করেন মাস্ক। ভারত সহ সারা বিশ্বে প্রায় ৩,৮০০ জন কর্মীকে কার্যত একদিনের নোটিশে ছাঁটাই করা হয়। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়েন তিনি। এর জবাবে মাস্ক জানিয়েছিলেন, ট্যুইটারের শক্তি হ্রাসের বিষয়ে, দুর্ভাগ্যবশত যখন কোম্পানি দিনে $৪মিলিয়নের বেশি লোকসান করছে তখন আর কোন বিকল্প নেই। প্রত্যেককে কাজ ছাড়ার জন্য ৩ মাসের বিচ্ছেদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা আইনত প্রয়োজনীয়তার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন