টুইটারে কর্মী ছাঁটাই আগেই হয়েছে। এবার শুরু হয়েছে পদত্যাগের হিড়িক।
টুইটার কর্মীদের ‘কঠোর পরিশ্রম করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে’- বৃহস্পতিবার, এই ‘আল্টিমেটাম’ (ultimatum) দিয়েছেন টুইটারের নতুন মালিক এলন মাস্ক। এই ঘোষণা সামনে আসার পরেই টুইটার থেকে গণহারে পদত্যাগ শুরু হয়েছে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসি (CNBC) জানিয়েছে, এলন মাস্কের ‘আল্টিমেটাম’-এর সময়সীমার আগে বৃহস্পতিবার টুইটারের কয়েক’শ কর্মচারী পদত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যান্য বিভাগের কর্মচারীবৃন্দ।
জানা যাচ্ছে, কোম্পানির বিভিন্ন ইন্টারনাল ম্যাসেজিং (internal chat) গ্রুপে বিদায়ী কর্মচারীদের অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে। অনেকেই স্যালুট ইমোজি (Salute emoji) শেয়ার করছেন। কারণ, এলন মাস্কের আল্টিমেটাম জারির একদিন পরেই পদত্যাগ শুরু করেছেন টুইটারের ইঞ্জিনিয়ার সহ কর্মচারীরা।
ব্লুমবার্গ (Bloomberg) এক রিপোর্টে জানিয়েছে, বিপুল সংখ্যক কর্মচারী টুইটার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, সোমবার পর্যন্ত অফিস বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এক ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, ‘কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন দল স্বেচ্ছায় কোম্পানি ছাড়ছেন। কোম্পানি গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তাছাড়া, এলন আমাদের মতো দক্ষ পেশাদারদের কোম্পানিতে থাকার কোনও কারণ তুলে ধরেননি।’
তবে, এই পরিস্থিতিতেও নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন না এলন মাস্ক। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সেরা ব্যক্তিরা থাকছেন, তাই আমি খুব একটা চিন্তিত নই এই নিয়ে।’
এক সপ্তাহ পূর্বে (১১ নভেম্বর) এলন মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন, কর্মচারীদের সপ্তাহে কমপক্ষে ৮০ ঘন্টা কাজ করতে হবে। অফিসে বিনামূল্যে খাবারের যে সুবিধা পাওয়া যেত, সেই সুবিধাও কমবে এবার। এছাড়া, যেসকল কর্মচারী বাড়ি থেকে কাজ (work from home) করার সুযোগ পেতেন, তাঁদেরকেও অফিসে আসতে হবে।
আর যারা এই নির্দেশ মানবে না, তাঁদের জন্য 'রাস্তা খোলা রয়েছে' বলে জানিয়েছিলেন নয়া টুইটার কর্তা। মাস্ক বলেছিলেন, 'আপনি যদি আসতে না চান, তাহলে আপনার পদত্যাগ গৃহীত হবে।' একইসঙ্গে তিনি জানান, 'আমাদের সবাইকে আরও কঠোর হতে হবে।'
প্রসঙ্গত, দু'সপ্তাহ আগে (২৮ অক্টোবর) ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে টুইটার অধিগ্রহণ করেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। তারপরেই বিতর্কে জড়ান তিনি। টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল (CEO Parag Agrawal) ও সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নেড সেগালকে (CFO Ned Segal) ছাঁটাই করেন তিনি। তারপরে (৫ নভেম্বর), সংস্থার ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেন মাস্ক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন