প্লাস্টিক ব্যবহার করে এমন প্যাকেজিং শিল্পের জন্য নতুন বিধি আনতে চলেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক। এর লক্ষ্য হবে এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার্স রেস্পনসিবিলিটি বা ইপিআর। মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এতে সব ধরনের রিসাইক্লিং পদ্ধতির বদল ঘটবে। বাড়বে দায়বদ্ধতা।
উৎপাদকের বর্ধিত দায়িত্বের অর্থ উৎপন্ন পণ্যের মেয়াদ শেষতক উৎপাদক দায়ী থাকবেন।গ্রাহক বর্জ্য হিসেবে ওই পণ্য ফেলে দেওয়ার পরে সেটিকে সংগ্রহ করার দায়িত্বও থাকবে উৎপাদকের। সেটির রিসাইক্লিংও করতে হবে তাকে।
দু'বছর আগেই প্লাস্টিক প্যাকেজিং শিল্পের জন্য এই বিধিগুলির প্রস্তাব দিয়েছিল। এই প্রস্তাবের পিছনে যে ভাবনাটি কাজ করেছে সেটি হল পণ্যকে নতুন রূপ দেওয়া অথবা পড়ে থাকা অংশ থেকে উপাদান নিষ্কাশন করা। এটি সব ধরনের প্লাস্টিক,ক্যারি ব্যাগ এবং প্যাকেজিংয়ের উপকরণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
মন্ত্রকের আধিকারিক সংস্থাকে আরও জানিয়েছেন, রিসাইকেল যাঁরা করবেন তাঁদের জিএসটি নথিভুক্তি থাকতে হবে নাহলে স্বীকৃতি মিলবে না। এতে স্বচ্ছতাই বজায় থাকবে শুধু তাই নয়, যে কোন সময় যে কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা যাবে। যথেষ্ট আর্থিক উৎসাহভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে সকল রিসাইকেলকারীকে যুক্ত করতে ফলে আইন বলবৎ করতে জোরাজুরি করতে হবে কম।
ইপি আর বলবৎ করা নিয়ে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ নিয়ে মামলাও লড়তে হয়েছে মন্ত্রককে। বিজ্ঞান ও পরিবেশ কেন্দ্রের ২০২০র একটি সমীক্ষা অনুযায়ী বিশ্বে মোট উৎপাদিত প্লাস্টিকের ৭৯শতাংশই জঞ্জাল হিসেবে পরিবেশে যুক্ত হয়।
কেন্দ্রীয় দূষণ পর্ষদের ২০১৮-১৯এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্লাস্টিক বর্জ্যের মাত্র ৯শতাংশে রিসাইকেল করা হয়। ভারতে প্রতি বছর প্লাস্টুক বর্জ্যের পরিমাণ ৩.৩মিলিয়ন মেট্রিক টন।তাও তো পুরো হিসেব পাওয়া যায়নি। তবে ধনী দেশগুলির প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ আরও বেশি। গোয়া ও দিল্লীর মতো ধনী রাজ্যে প্রতিদিন মাথাপিছু যথাক্রমে ৬০ ও ৩৭ গ্রাম বর্জ্য উৎপন্ন হয়, সেখানে জাতীয় গড় মাথাপিছু প্রতিদিন ৮গ্রাম।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন