২০২২ সালে ভারতে ভয়াবহ আবহাওয়ার বলি ২,২২৭ জন!

২০২২ সালে ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১,২৮৫ জনের। এছাড়া, বন্যা এবং ভারী বৃষ্টিপাতে ৮৩৫ জন, তুষারপাতে ৩৭ জন, তীব্র তাপপ্রবাহে ৩০ জন এবং ধুলো ঝড়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

২০২২ সালে চরম আবহাওয়ার জেরে ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ২,২২৭ জন মানুষ। শুক্রবার, জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে এই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (IMD)।

তীব্র দাবদাহ, বজ্রপাত, বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে ভারতে বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিল। ২০২২ সালে সব মিলিয়ে ২৭ বার তাপপ্রবাহ এবং ১১১টি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। বজ্র-বিদ্যুৎ সহযোগে ঝড় বৃষ্টি ঘটনা ঘটেছে ২৪০ বার।

'ক্লাইমেট অফ ইন্ডিয়া ডিসিং ২০২২' শিরোনামে IMD-র রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, দেশে সবথেকে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বজ্র-বিদ্যুৎ সহযোগে ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আঘাতে। ২০২২ সালে ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১,২৮৫ জনের। এছাড়া, বন্যা এবং ভারী বৃষ্টিপাতে ৮৩৫ জন, তুষারপাতে ৩৭ জন, তীব্র তাপপ্রবাহে ৩০ জন এবং ধুলো ঝড়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বজ্রঝড় ও বজ্রপাতে সবথেকে বেশি মানুষ মারা গেছে বিহারে। সেখানে প্রাণ হারান ৪১৫ জন। একই কারণে ওড়িশায় ১৬৮ জন, ঝাড়খণ্ডে ১২২ জন, মধ্যপ্রদেশে ১১৬ জন, উত্তরপ্রদেশে ৮১ জন, রাজস্থানে ৭৮ জন, ছত্তিশগড়ে ৭১ জন, মহারাষ্ট্রে ৬৪ জন এবং আসামে ৫৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সামগ্রিকভাবে সবথেকে বেশি মৃত্যু ঘটেছে বিহারে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য বিহারে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১৮ জন। এরপরে রয়েছে আসাম, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র। বিজেপি শাসিত এই ৩ রাজ্যে যথাক্রমে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫৭, ২০১ এবং ১৯৪ জন।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন দূষণকারী দেশ হল ভারত। তবে, অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এখানে মাথাপিছু কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কম বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

গত আগস্ট মাসে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিল, চলতি শতাব্দীতে ভারতে তাপমাত্রার পরিমান বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও ঘনঘন তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। সেই দাবিকেই মান্যতা দিয়ে ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ১৯০১ সালের পর দেশের ইতিহাসের পঞ্চম উষ্ণতম বছর ছিল ২০২২।

রিপোর্টে IMD জানিয়েছে, ১৯৮১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ভারতে বার্ষিক তাপমাত্রার যে গড় ছিল, ২০২২ সালে তা ০.৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল মার্চ মাস। আর, এপ্রিল এবং মে মাসে তাপমাত্রার পরিমান অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in