সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভোটব্যাংককে প্রভাবিত করা যায়, তা ২০১৮-২০তেই এদেশে বোঝা গিয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, দ্বিতীয়বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুককে হাতিয়ার ছিল বিজেপির। সম্প্রতি ফেসবুকের প্রাক্তন কর্মী ফ্রান্সেস হাউজেন যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তাতে এমনই অভিযোগ উঠেছে।
হাউজেন জানিয়েছেন, ওই সময়কালে ভারতে ধর্মীয় মেরুকরণ, ভুয়ো খবর, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে অবমাননাকর পোস্টের অসংখ্য অভিযোগ ফেসবুকের দফতরে জমা পড়ে। উল্লেখ করার বিষয় সংস্থার কর্মীরাই সেই অভিযোগ তুললেও পাত্তা দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় রাজনীতিতে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পরের কয়েক বছরের মধ্যেই চালকের আসনে চলে আসে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ফেসবুক, টুইটার। প্রত্যেক রাজনীতিকের সব সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল থাকতেই হবে.. অলিখিত বিধিও চালু হয়ে গিয়েছিল।
জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ‘বিদ্বেষমূলক মন্তব্য’ ও ‘সমস্যাপূর্ণ পোস্ট’ সংক্রান্ত দু’টি অভিযোগ সংস্থার কাছে জমা দিয়েছিলেন ফেসবুকের কর্মীরা। ওই বছরই আগস্ট মাসে আরও একটি অভিযোগ করেন তাঁরা। বলেন, বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে চিনতে পারছে না ফেসবুকের এআই প্রযুক্তি। তাই বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ও অন্যান্য উস্কানিমূলক পোস্টগুলি ধরা যাচ্ছে না।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেরুকরণের প্রচারের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে প্রথমে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচনে হিন্দুত্ব অস্ত্রে এগিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের আইটি সেল। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রচ্ছন্ন মদতেই সবটা হয়েছিল বলে দাবি বিরোধীদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন