অনেক দেশেই স্বাধীন ও মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ইন্টারনেটে সঠিক তথ্য সরবরাহে বাধা দিয়েছে অনেক দেশ আবার অনেক দেশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিবিসি-তে একটি সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন গুগল সিইও সুন্দর পিচাই।
অনলাইন কন্টেন্ট নিয়ে কিছু দেশে ক্রমবর্ধমান কঠোর আইন চালু করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল গুগল প্রধানকে। এর জবাবে তিনি বলেন, "... এটা আরো এক ধাপ পিছিয়ে দিচ্ছে সবকিছুকে। আমি মনে করি কোনো কিছু ভালোর জন্য ফ্রী এবং ওপেন ইন্টারনেট ব্যবস্থার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের সেই গুরুত্ব দিয়ে ইন্টারনেটকে দেখা উচিত। কোন কথা ঠিক আছে, কোন কথা বলার অনুমতি দেওয়া হবে, কোনটা বলা যাবে না - প্রতিটি দেশেই এখন তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। আমি মনে করি এগুলো করতে গিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই তথ্য সরবরাহকে নিষিদ্ধ করে ফেলছে। তথ্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।"
গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে সামনে রেখে ইন্টারনেটের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিটি দেশকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পিচাই।
গুগুল প্রধানের এই মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন ভারত সরকার নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইন চালু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সমস্ত লেখা, ভিডিওর ওপর 'নজরদারি' রাখতে এই আইন চালু করেছে মোদী সরকার। আইনে বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সমস্ত লেখা এবং ভিডিওর আসল উৎস সরকারকে জানাতে হবে।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ট্যুইটারের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইট, গুগলের মতো সারৃচ ইঞ্জিনকেও এই আইনের আওতায় এনেছে মোদী সরকার।
মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ অভিযোগ করে ট্যুইটার এই আইনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। যদিও সরকারের দাবি ব্যবহাকারীদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য এই আইন আনা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গুগল প্রধানের এই মন্তব্য মোদী সরকারকে উদ্দেশ্য করেই বলা হয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন