Gaming Industry: ২০২৩ অর্থবর্ষে দেশের গেমিং শিল্পে ৫ গুণ বৃদ্ধি, ১ লাখ নতুন কাজের সম্ভাবনা - রিপোর্ট

আগামীদিনে এই ক্ষেত্রে প্রায় ১ লক্ষ নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে এই ক্ষেত্রকে ‘নেক্সট সানরাইজ সেক্টর’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ফাইল ছবি ফোর্বস-এর সৌজন্যে
Published on

২০২৩ আর্থিক বছরে ভারতের গেমিং-এ প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি হতে পারে। আগামীদিনে এই ক্ষেত্রে প্রায় ১ লক্ষ নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে এই ক্ষেত্রকে ‘নেক্সট সানরাইজ সেক্টর’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই মুহূর্তে গেমিং সেক্টরে প্রায় ৫০ হাজার জন কাজ করেন। যার মধ্যে ৩০ শতাংশ প্রোগ্রামার এবং ডেভালপার। ২০১৯ সালে এই শিল্পে বিনিয়োগ ছিল ৭,০৩৭ কোটি টাকা। যা বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ১৪,৩০০ কোটি। টিমলীজ ডিজিটাল গেমিং-এর ‘টুমরোস ব্লকবাস্টার রিসার্চ’ অনুসারে ২০২৬ সালে এই শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩৮,০৯৭ কোটি টাকা এবং পরবর্তী ৭ বছরে এই বিনিয়োগ পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। একথা জানিয়েছেন টিমলীজ ডিজিটালের সিইও সুনীল চেম্মানকোটিল।

আগামী ২০২৩ আর্থিক বছরে এই ক্ষেত্রে ৭৮০ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ আসতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। টিমলীজ ডিজিটালের বিজনেস লীডার মুনিরা লোলিওয়ালা জানিয়েছেন, আগামী ২০২৩ আর্থিক বছরে এই ক্ষেত্রে প্রায় ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে এবং ২০২৬-এর মধ্যে যা পৌঁছতে পারে ৩৮,০৯৭ কোটি টাকায়।

তিনি জানান, “এই মুহূর্তে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন গেমিং কমিউনিটি নিয়ে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে। প্রথম স্থানে আছে চিন। এই ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধির ফলে কাজের সুযোগও বাড়ছে। এই ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ মিলেনিয়ালস এবং জেন-জেড কর্মী এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ পেশাদাররা উদীয়মান এই ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী।”

সমীক্ষা অনুসারে আগামী বছরে এই শিল্পে গেম ডেভালপার, ইউনিটি ডেভালপার, প্রোগ্রামিং, টেস্টিং, অ্যানিমেশান, ডিজাইন, শিল্পী, কনটেন্ট রাইটার, গেমিং জার্নালিস্ট এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নতুন নতুন কাজের সম্ভাবনা তৈরি হতে চলেছে।

লোলিওয়ালা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই ক্ষেত্রে আমরা কর্মসংস্থানে ভালো প্রভাব দেখতে পাব। ওয়েব থ্রি এবং মেটাভারস-এর মিশ্রণে গেমিফিকেশন শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী গেমিং ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ই-কমার্স, ফিনটেক, শিক্ষা সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রভাবিত হবে।

সমীক্ষা অনুসারে, এই ক্ষেত্রে মহিলারা বর্তমানে মোট ওয়ার্কফোর্স-এর প্রায় ৪০ শতাংশ এবং নেতৃত্বের জায়গায় রয়েছেন। এই শিল্পে নিযুক্তদের মধ্যে গেম প্রোডিউসাররা বছরে ১০ লক্ষ টাকা আয় করছেন। এছাড়াও গেম ডিজাইনাররা ৬.৫ লক্ষ, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়াররা বছরে ৫.৫ লক্ষ, গেম ডেভালপাররা বছরে ৫.২৫ লক্ষ এবং কিউএ টেস্টাররা বছরে ৫.২৫ লক্ষ টাকা আয় করছেন।  

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in