বিশেষজ্ঞ-ডাক্তারদের বারবার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রমরমিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে গোমূত্র-গোবর। সম্প্রতি গুজরাটের এক কোভিড সেন্টারে এরকম একটি দৃশ্য দেখা গেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের একবার সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা। হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
গুজরাতের বেশ কিছু গোশালাকে কোভিড কেয়ার সেন্টারে রূপান্তরিত করে সেখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন গোশালা কর্তৃপক্ষ। করোনা আক্রান্তদের ওষুধ হিসেবে দুধ-ঘির সাথে গোমূত্র মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে সেখানে। উদ্যোক্তারা নিজেই একথা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও সপ্তাহে একবার আশেপাশের এলাকা থেকে প্রচুর লোক গোশালাতে যাচ্ছেন নিজেদের শরীরে গোবর ও গোমূত্র মাখতে। তাঁদের বিশ্বাস এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছেন তাঁরা।
সংবাদমাধ্যমে দেখানো ভিডিওতে দেখা গেছে, রীতিমতো লাইন দিয়ে বসে বালতি-বালতি গোমূত্র ও গোবর শরীরে মাখছেন কিছু ব্যক্তি। এরপর শরীরে ওই মিশ্রণটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তাঁরা। এরপর গোরুকে জড়িয়ে ধরে বা গোরুর সামনে জোড় হাত করে বসে তাকে সম্মান জানিয়ে যোগাসন শুরু করেন অংশগ্রহণকারীরা। এরপর দুধ বা বাটারমিল্ক দিয়ে শরীর ধুয়ে নেন তাঁরা।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ডাঃ জেএ জয়ালাল বলেছেন, "গোমূত্র বা গোবর কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এরকম কোনো বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ নেই। কেউ কেউ নিজেদের বিশ্বাস থেকে এরকম কথা বলছেন। পশুদের বর্জ্য পদার্থ খাওয়া ও গায়ে মাখার ফলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকতে পারে। পশুর শরীরে থাকা রোগ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন