বছরের শেষে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ। ৫ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আছড়ে পরতে চলেছে দক্ষিণের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। আর যার প্রভাবে রবিবার রাত থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু জুড়ে শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। জলমগ্ন একাধিক জেলা। ভারি বৃষ্টির প্রভাবে সোমবার সকালে চেন্নাইয়ের ইস্ট কোস্টাল রোডের কানাথুর এলাকায় একটি বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে বলে খবর। জানা গেছে, ওই ঘটনায় ২ জন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। অতিভারি বৃষ্টির জন্য পুদুচেরিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম শক্তি বাড়িয়ে দক্ষিণের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পরবে। সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি চেন্নাইয়ের থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, নেলোরের ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, বাপাতলের ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই চেন্নাই, চেঙ্গালপেট, কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর সহ একাধিক জায়গায় ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। মিগজাউমের প্রভাবে বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। ব্যাহত বিমান চলাচলও।
অন্যদিকে, যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল দক্ষিণ ভারতে, এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না বাংলায়। তবে পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। তবে দুর্যোগের দাপট বেশি হবে না। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলায়। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। ওই দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে উপকূলঘেঁষা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। বুধবার থেকে দক্ষিণের বাকি জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভিজবে কলকাতাও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন