রামদেবের বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকার মানহানির নোটিশ পাঠালো IMA, উত্তরাখণ্ড। গত সোমবার রামদেবের বিরুদ্ধে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন রামদেব। এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে আইএমএ উত্তরাখণ্ডের পক্ষ থেকে এই মানহানির নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মানহানির নোটিশ পাঠানোর পাশাপাশি আইএমএ উত্তরাখণ্ডের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ সিং রাওয়াত এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা এক চিঠিতে রামদেবের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবার আবেদন জানানো হয়েছে।
গত সোমবারের পাঠানো নোটিশ অনুসারে, রামদেব যদি লিখিতভাবে এবং ভিডিও বার্তা দিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চান তাহলে তাঁকে ১০০০ কোটি টাকা দিতে হবে। একই সঙ্গে মানহানির একটি নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রামদেবের অ্যালোপ্যাথি নিয়ে মন্তব্যে এর আগে ক্ষোভ জানিয়েছিলো আইএমএ। সরাসরি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধনকে চিঠি লিখে রামদেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার আবেদন জানানো হয়। যে চিঠিতে বলা হয়েছিলো - মহামারী আইনে রামদেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নতুবা আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি তুলে দেওয়া হোক। যথেষ্ট হয়েছে।
এরপর রামদেবকে চিঠি লেখেন ডাঃ হর্ষ বর্ধন। যে চিঠির পর রামদেব প্রাথমিকভাবে তাঁর আগের করা মন্তব্য থেকে সরে এলেও পরে ফের আইএমএ-র উদ্দেশ্যে ২৫টি প্রশ্ন তুলেছেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রামদেবের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে তাঁকে বলতে দেখা গেছে, অ্যালোপ্যাথি একটি স্টুপিড সায়েন্স। DCGI অনুমোদিত রেমডেসিভির, ফ্যাভি ফ্লু এবং অন্যান্য ওষুধগুলো করোনা রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে লক্ষ লক্ষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আধুনিক চিকিৎসকরা খুনি।
আইএমএ-র অভিযোগ, বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জনগণের মধ্যে ভয় ও হতাশা তৈরি করে নিজের অবৈধ ও অনুমোদনহীন ওষুধগুলো বিক্রি করে অর্থোপার্জনের চেষ্টা করছে রামদেব। নিজের এই মন্তব্যের দ্বারা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের পরামর্শ না নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মনে একধরনের বিশ্বাস তৈরি করছেন তিনি। এর মাধ্যমে মানুষের জীবনে বিপদ ডেকে আনছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা দায়ের করা উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন