সম্প্রতি কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই গত রবিবার রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করেছিল টুইটার। ভারতীয় নাগরিক বিনয় প্রকাশকে এই পদে নিয়োগ করেছে টুইটার ইন্ডিয়া। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, গত কয়েকমাস ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে চলে আসা টানাপোড়েনে ইতি টানল টুইটার।
এরইমধ্যে বুধবার মাইক্রোব্লগিং সাইটটির তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টুইটার অ্যাকাউন্টের তথ্য জানার জন্য সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই সরকারি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানার আবেদন রয়েছে। বিশ্বের মোট অ্যাকাউন্টের আবেদনের ২৫ শতাংশ আবেদনই ছিল ভারতের তরফে।
নিজেদের ব্লগে টুইটার নিজেদের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে জানিয়েছে, জাপানের পরই আইনি অ্যাকাউন্টের আবেদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে সরকারি ও আইনি আবেদনের ফোন নম্বর-সহ সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। আইন ভাঙার কারণে যেসব অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা হয়েছে সেগুলোর তথ্যও দেওয়া হয়েছে।
টুইটার জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল এমারজেন্সি অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৩৪ শতাংশ, এরপরেই রয়েছে জাপান (১৭ শতাংশ) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (১৬ শতাংশ)। ২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বরের মধ্যে টুইটারে ৩৮ হাজার ৫২৪টি আইনি আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৩ টি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার জন্য।
টুইটারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউজার সংখ্যা বাড়ানোই লক্ষ্য তাদের। তবে কনটেন্ট নিয়ে কোনও সমস্যা হলে তা আগে বিবেচনা করার পরই অ্যাকাউন্টটি ভিউয়ের জন্য ছাড়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন