সোমবার সকালে জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারত। একটি কম্পনের প্রভাব বেশি অনুভূত হয় ভারতের পুরী, ও বাংলাদেশের কক্সবাজারে। অন্যটি হয় অরুণাচল প্রদেশে। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে (NCS) খবর, ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ৩২মিনিট ৫৫সেকেন্ড নাগাদ রিখটার স্কেলে কম্পন ধরা পড়ে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল বঙ্গোপসাগর থেকে ১০ কিমি নীচে। ভৌগলিক মানচিত্রে এর অবস্থান ১৯.১৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯.৭৯ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় ৯টা ৫০মিনিটে কক্সবাজার ছাড়াও রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশকিছু অংশে কম্পন অনুভূত হয়।
এনসিএস সূত্রেই জানা যাচ্ছে - অন্য একটি ভূমিকম্প হয়েছে অরুণাচল প্রদেশে। ভারতীয় সময় সকালে ৭টা ৪মিনিট ৫৫সেকেন্ডে কেঁপে ওঠে অরুণাচল প্রদেশের ছাংলাং জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা। ভূমিকম্পের ভৌগোলিক অবস্থান ২৭.১৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯৫.৯৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি নিম্নে কেন্দ্রস্থল থাকলেও রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৩.৩।
উল্লেখ্য, ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলিতে প্রতিনিয়ত কম্পন অনুভূত হচ্ছে। যা নিয়ে গবেষকরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক ক্যাম্প চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। যাতে ভূমিকম্প হলে মানুষ কীভাবে সাবধান হবেন।
গতকাল অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বরই ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৮মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে শ্রীলঙ্কার বেশকিছু এলাকা কেঁপে ওঠে। কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২। বঙ্গোপসাগর থেকে ১০কিমি গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। আবার ৩ ডিসেম্বর হিমাচলে প্রদেশের ছাম্বাতে ৩.৪ মাত্রায় ভূমিকম্প হয়। সময় রাত ১২টা ৩৮মিনিট। গভীরতা অবশ্য কম ছিল (৫কিমি)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন