ফের মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। বোয়িং স্টারলাইনারের পরীক্ষামূলক অভিষেক অভিযানে মহাকাশের উদ্দেশ্যে তাঁদের যাত্রা শুরু ৭ মে ভারতীয় সময় সকাল ৮ টা ৪ মিনিটে। এই মিশনে তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এই নিয়ে ৫৯ বছর বয়সী সুনীতা তৃতীয়বার মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন। আরও একবার নিজের মহাকাশযাত্রা প্রসঙ্গে সুনীতা জানিয়েছেন, ‘আমি যখন মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাব, মনে হবে নিজের বাড়িতেই ফিরলাম।”
১৯৯৮ সালে নাসা দ্বারা নির্বাচিত, সুনীতা উইলিয়ামস এর আগেও দু’বার মহাকাশ অভিযানে গেছেন। একটি অভিযান ২০০৬ এবং অন্যটি ২০১২ সালে। নাসা জানিয়েছে, সুনীতা এখনও পর্যন্ত সর্বমোট ৩২২ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন। এর আগে তিনি উল্লেখযোগ্য স্পেসওয়াক পরিচালনা করেছিলেন এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার এবং স্টেশন কমান্ডার হিসাবে কাজ করেছেন। এখনও পর্যন্ত সুনীতা সাতবারে ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট স্পেসওয়াক করেছেন।
সুনীতা উইলিয়ামসের বাবা দীপক পান্ডে ছিলেন একজন নিউরোঅ্যানাটোমিস্ট। যিনি গুজরাটের মেহসানা জেলার ঝুলাসনে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং স্লোভেনীয় বনি পান্ডেকে বিয়ে করেন। ৫৯ বছর বয়সী সুনীতা মহাকাশচারীর পাশাপাশি একজন ম্যারাথন দৌড়বিদ এবং অতীতে তিনি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন।
ক্রু ফ্লাইট টেস্ট (সিএফটি) নামে পরিচিত এই মিশনে স্টারলাইনার ভারতীয় সময় ৮ টা বেজে ৮ মিনিটে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে খোদ সুনীতা বলেছেন, মহাকাশযান উড়লে তা নিরাপদ এবং আরামদায়ক হবে বলেই মনে হচ্ছে।
এই মিশনটি নাসার বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রামের অংশ এবং স্টারলাইনার মহাকাশযানের জন্য উদ্বোধনী যাত্রা৷ এই মিশনের লক্ষ্য হল উৎক্ষেপণ থেকে মহাকাশে পৌঁছানো পর্যন্ত মহাকাশযানের সক্ষমতা মূল্যায়ন করা এবং পশ্চিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদে ফিরে আসা।
দশদিনের এই মিশনে উইলমোর এবং উইলসন স্টারলাইনারের প্রযুক্তি ব্যবস্থা এবং ক্ষমতা যাচাই করে দেখবেন। এই পরীক্ষার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে স্টারলাইনার মহাকাশ স্টেশনে পর্যটক নিয়ে যেতে পারবে কিনা। স্টারলাইনার মহাকাশযান সাত জন্য মহাকাশচারী বহন করতে সক্ষম। এটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান। সর্বোচ্চ ১০ বার যাতায়াতে সক্ষম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন