অবশেষে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে ইসরো। একদিকে যেমন আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের মাটিতে নেমেছে, অন্যদিকে তেমনি বিশ্বের প্রথম দেশ ও মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার সাহস করে সফল হয়েছে ভারতের ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO)। কয়েকদিন আগেই রাশিয়া সেই চেষ্টা করলেও সফল হয়নি।
ইসরোর এই সাফল্যে তাকে নিয়ে জয়জয়কার সারা দেশে। এবার এই ইসরো’র জন্ম ঠিক কবে? মনে করিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ। বুধবারই চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে নামার আগে টুইটারে (বর্তমানে X) তিনি লেখেন, “১৯৬২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি INCOSPAR (Indian National Committee for Space Research) গঠনের মাধ্যমেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা শুরু হয়েছিল। ভারতের দুই মহান বিজ্ঞানী হোমি ভাবা ও বিক্রম সারাভাইয়ের দূরদর্শিতা এবং জওহরলাল নেহেরুর অত্যন্ত উৎসাহী সমর্থনের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছিল।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “সেই কমিটিতে দেশের শীর্ষ স্থানীয় বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে দেশের সেরা বিজ্ঞানীরা সহযোগিতা ও দলগতভাবে কাজ করার মনোভাব নিয়ে একত্রিত হয়েছিলেন। The Hindu এই INCOSPAR-এর গঠনের খবর তাঁদের ৬ নং পাতায় কভারও করেছিল।”
এই লেখার সঙ্গে কংগ্রেস নেতা সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ‘The Hindu’-তে প্রকাশিত সেই খবরের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন। বুধবারই বিশ্বের অন্যতম সেরা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে তৃতীয় অভিযানেই চাঁদের মাটি ছুঁয়ে স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাস লিখেছে ভারত। তাই এদিনই ভারতের মহাকাশ গবেষণা ও ইসরোর জন্ম ও তার পিছনে প্রধান তিন ব্যক্তির কথা মনে করিয়ে দিলেন রমেশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন