কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস (Infosys)-এর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ করেছেন সংস্থারই নিয়োগ বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জিল প্রেজিয়ান (Jill Prejean)।
নিউ ইয়র্কের এক আদালতে জিল প্রেজিয়ান দাবি করেন, ‘তাঁর কাছে নির্দেশ ছিল কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভুত, সন্তান থাকা মহিলা এবং ৫০ বছর বয়সের উপরে কোনও চাকরিপ্রার্থী যদি আবেদন করেন, তাঁদের যেন এড়িয়ে যাওয়া হয়।’
এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘বয়স, লিঙ্গ এবং যত্নশীল অবস্থার ক্ষেত্রে অংশীদার সংস্থার মধ্যে অবৈধ বৈষম্যমূলক সংস্কৃতি খুঁজে পেয়ে হতবাক হয়েছি আমি।'
মার্কিন আদালতে তিনি জানান, চাকরির প্রথম দু’মাসে তিনি সংস্থার এই ‘সংস্কৃতি’ পরিবর্তনের বহু চেষ্টা করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ২০১৮ সালে ইনফোসিস সংস্থার দু’টি অংশীদার সংস্থার কাছে বাধা পেয়েছেন তিনি। এরপর তিনি চাকরি ছাড়েন।
জানা যাচ্ছে, জিল প্রেজিয়ানের অভিযোগপত্রে সংস্থার কনসালটিং বিভাগের প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক লিভিংস্টন (Mark Livingston), প্রাক্তন ব্যবসায়িক পার্টনার ড্যান অ্যালব্রাইট ( Dan Albright) এবং জেরি কার্টজের (Jerry Kurtz) নাম রয়েছে।
জিলের অভিযোগ, ড্যান এবং জেরির নিয়োগ সংক্রান্ত এই ‘বেআইনি আবদার’ মেনে না নেওয়ার কারণে তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণও করা হয় বলে অভিযোগ করেন জিল।
আদালতে জিল প্রেজিয়ান দাবি করেন, ২০১৮ সালে তিনি ইনফোসিসে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু, নিউইয়র্কের মানবাধিকারের আইন লঙ্ঘন করে তাঁকে চাকরি থেকে ররখাস্ত করা হয়েছে।
যদিও জিলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইনফোসিস। তাদের দাবি, ওই কর্মী সংস্থার নিয়ম মানতেন না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এড়িয়ে নিয়োগ করতেন তিনি। তাই জিলের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আদালতে ইনফোসিসের আবেদন, জিলের অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণও নেই। তাই, জিলের মামলা খারিজ করা হোক।
তবে, ইনফোসিসের এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মার্কিন আদালত। একইসঙ্গে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইনফোসিস কোম্পানিকে নিজেদের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন