এলন মাস্কের টুইটারকে (বর্তমানে ‘X’) কড়া টক্কর দেওয়ার জন্য মেটা প্রধান মার্ক জুকারবার্গ জুলাই মাসের শুরুতেই ইন্সটাগ্রাম থ্রেডস অ্যাপ চালু করেন। প্রথমদিকে বিশ্ব জুড়ে দৈনিক ইউজার হিসেবে টুইটারকে ভালোই টক্কর দিয়েছিল এই নয়া অ্যাপ। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, জন্মের একমাসের মধ্যেই ইন্সটাগ্রাম থ্রেডসের ইউজার সংখ্যায় নেমেছে ব্যাপক ধস। এক ধাক্কায় প্রায় ৭৯ শতাংশ ব্যবহারকারী খুইয়েছে জুকারবার্গ-এর এই নয়া অ্যাপ। অন্যদিকে, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এলন মাস্কের টুইটার লোগো পরিবর্তন করেও একচেটিয়া বাজার দখল করে বসে রয়েছে।
ইজরায়েলের এক তথ্য বিশ্লেষক সফটওয়ার সংস্থা ‘সিমিলারওয়েব’ সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। ওই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, গত ৭ জুলাই এই থ্রেড অ্যাপটির দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৪৯.৩ মিলিয়ন। সেখানে ঠিক একমাসের ব্যবধানে ৭ আগস্টে ওই অ্যাপে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৩ মিলিয়নে। আবার ৭ জুলাইয়ের হিসাবে বিশ্ব জুড়ে থ্রেড অ্যাপের সক্রিয় ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ১৪ মিনিট সময় ওই অ্যাপে কাটাত। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই থ্রেড ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ২১ মিনিট সময় ওই অ্যাপে অতিবাহিত করত। সাম্প্রতিক রিপোর্টে সেই সময়টা আশ্চর্যজনকভাবে কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ মিনিটে।
রিপোর্ট বলছে, তুলনামূলকভাবে দেখতে গেলে টুইটারের দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যার কাছে থ্রেডের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় কিছুই নয়। কারণ, বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে এলন মাস্কের টুইটারের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ মিলিয়নেরও বেশি। এবং তারা ধারাবাহিকভাবে টুইটারে প্রতিদিন গড়ে ২৫ মিনিট সময় কাটান। প্রসঙ্গত, গত মাসের শুরুতে এলন মাস্কের টুইটারকে জোর টক্কর দেওয়ার জন্যই এই ইন্সটাগ্রাম থ্রেড অ্যাপটি লঞ্চ করেছিলেন মেটা গ্রুপের অধিকর্তা মার্ক জুকারবার্গ। টুইটারের মতোই এখানেও ছবি, ছোট ভিডিও ও কোনও বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরা যায়। শুরুর দিকে গোটা বিশ্বের বাজারে আলোড়ন ফেলে দিলেও সেই সাফল্য সে ধরে রাখতে পারেনি। তাই যত দিন যাচ্ছে ততই টুইটারের সামনে আত্মসমর্পণে বাধ্য হচ্ছে এই ইন্সটাগ্রাম থ্রেডস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন