২০২৩ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে লাগামছাড়া ছাঁটাই শুরু হয়েছিল ২০২৪-এর তা অব্যাহত। Layoffs.fyi-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত প্রথম ৭ মাসে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ছাঁটাই হয়েছেন ১,৩০,৪৮২ জন। মোট ৩৯৭টি সংস্থা থেকে এইসব কর্মীরা ছাঁটাই হয়েছেন। যে সব সংস্থা থেকে কর্মীরা ছাঁটাই হয়েছেন তার মধ্যে আছে একাধিক নামজাদা সংস্থা।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুহূর্তে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ছাঁটাই কমবার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ অধিকাংশ সংস্থাই চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা ক্রমশ বেড়ে চলার কারণেও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
অতি সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত সিসকো জানিয়েছে সংস্থায় আবারও কর্মী ছাঁটাই হতে চলেছে। এবার সিসকো থেকে বড়ো সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাই হবার সম্ভাবনা। এর আগে কমপক্ষে ৪ হাজার জনের চাকরি গেছে এই সংস্থা থেকে। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মূলত সাইবার নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর কারণেই এই ছাঁটাই জরুরি হয়ে পড়েছে।
এর আগে জুলাই মাসে ইন্টেল-এর পক্ষ থেকে কমপক্ষে ১৫ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানানো হয়েছিল। যা সংস্থার মোট কর্মী বাহিনীর ১৫ শতাংশের বেশি। জানা গেছে ২০২৫ সালের মধ্যে সংস্থার আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই বছর কোম্পানি প্রায় ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ কমাতে চলেছে। যে খরচ কমানোর অংশ হিসেবেই এই কর্মী ছাঁটাই হবে।
এই তালিকাতে একাধিক ভারতীয় সংস্থারও নাম এসেছে। আনএকাডেমি এবং ওয়েকুল নামক দুই সংস্থা থেকেও কর্মী ছাঁটাই-এর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে আনএকাডেমি থেকে ছাঁটাই হচ্ছেন প্রায় ২৫০ কর্মী এবং ওয়েকুল থেকে প্রায় ২০০ জন কর্মী।
এছাড়াও আরও যেসব বড়ো বড়ো সংস্থা থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া গেছে তার মধ্যে আছে মাইক্রোসফট, ইউকেজি, ডাইসন, ক্যাসপারস্কি প্রভৃতি সংস্থা। এরমধ্যে মাইক্রোসফট থেকে ছাঁটাই হতে চলেছেন প্রায় ১০০০ কর্মী, সফটওয়্যার সংস্থা ইউকেজি থেকে প্রায় ২২০০ কর্মী, ডাইসন থেকে প্রায় ১০০০ কর্মী এবং ক্যাসপারস্কি থেকে প্রায় ৫০ জন কর্মী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন