২০১৬ থেকে ২০২০ – পাঁচ বছর সময়কালে দেশে বজ্রপাতের কারণে ১৪,২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকার বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবে ঘোষণা করেনি। গত ১৬ মার্চ লোকসভায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি করুণানিধির এক প্রশ্নের উত্তরে লোকসভায় জানানো হয়, "গত পাঁচ বছরে বজ্রপাতের কারণে ১৪,২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ সালে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৩,৩১৫। ২০১৭ সালে মৃত্যু হয় ২,৮৮৫ জনের; ২০১৮ সালে ২,৩৫৭ জনের। কিছুটা বেড়ে ২০১৯-এ তা দাঁড়ায় ২,৮৭৬-এ এবং ২০২০ সালে মৃত্যু হয় ২,৮৬২ জনের।”
দেশের মধ্যে বিহারে ২০২০ সালে সর্বাধিক ৪৩৬ জনের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। অন্যান্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে মধ্যপ্রদেশে ৪২৯ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে; ঝাড়খণ্ডে ৩৩৬ জন মৃত্যু; উত্তর প্রদেশে ৩০৪; ওড়িশায় ২৭৫ এবং ছত্তিশগড়ে ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালের হিসেবে অনুসারে বিহারে ৪০০ জন, মধ্যপ্রদেশে ৪০০, ঝাড়খণ্ডে ৩৩৪, উত্তরপ্রদেশে ৩২১, ওড়িশায় ২৭১, ছত্তিশগড়ে ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কানিমোঝি করুণানিধি সভার কাছে জানতে চান বজ্রপাতজনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতি ক্রমশ বাড়লেও এখনও কেন বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবে ঘোষণা করা হচ্ছে না।
কানিমোঝির প্রশ্নের উত্তরে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত) জিতেন্দ্র সিং জানান, "বর্তমানে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া তহবিল (NDRF)/রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া তহবিল (SDRF) সহায়তার জন্য যোগ্য দুর্যোগের তালিকাভুক্ত তালিকার মধ্যে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়, খরা, ভূমিকম্প, অগ্নি, বন্যা, সুনামি, শিলাবৃষ্টি, ভূমিধস, তুষারপাত, মেঘ ধস, কীটপতঙ্গের আক্রমণ এবং তুষারপাত ও শৈত্যপ্রবাহ সহ ১২টি দুর্যোগ।”
জিতেন্দ্র সিং আরও বলেন, "বিপর্যয়ের বর্তমান বিজ্ঞাপিত তালিকায় আরও বিপর্যয় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন বিবেচনা করেছিলো। কমিশন তার প্রতিবেদনের ৮.১৪৩ অনুচ্ছেদে পর্যবেক্ষণ করেছে যে বিভিন্ন রাজ্যে তালিকাভুক্ত দুর্যোগের ক্ষেত্রে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স মিটিগেশান ফান্ড (SDRMF) এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স মিটিগেশন ফান্ড (NDRMF) রাজ্যের চাহিদাগুলিকে অনেকাংশে যুক্ত করে এবং এইভাবে এর পরিধি বাড়ানোর অনুরোধে খুব বেশি কারণ খুঁজে পায়নি।"
লোকসভাকে আরও জানানো হয়, কোনো রাজ্য সরকার SDRF-এর বার্ষিক তহবিল বরাদ্দের ১০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। যদিও সেক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত এবং নিয়ম পূরণ করতে হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে বিপর্যয়ের তালিকাভুক্ত না হলেও রাজ্যের স্থানীয় প্রেক্ষাপট অনুসারে কোনো ঘটনাকে ‘বিপর্যয়’ বলে মনে করা হলে এই তহবিল থেকেই সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকারদের তাৎক্ষণিক ত্রাণ দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন