শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'মোচা'। আছড়ে পড়বে মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলে। গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০-১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা। তবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রশাসনিক নজরদারি চলছে।
বৃহস্পতিবারই অতিগভীর নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে মোচা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। বাংলাদেশের কক্স বাজার ও মায়ানমার উপকূলের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। ওই দুই দেশের প্রশাসনও ঝড় মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার ফলে সরাসরি বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রভাব পড়বে না। পশ্চিমবঙ্গে কোনো সতর্কতা নেই। তবে ১২-১৪ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও পরে আবার বাড়বে। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি জারি থাকবে।
অন্যদিকে, বিপর্যয় মোকাবিলায় কোনো গাফিলতি রাখতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দীঘাতে ৮টি দল ও ২০০ জন সদস্যকে পাঠিয়েছে এনডিআরএফ। তারা উদ্ধারকাজের মহড়াও চালিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ বিগত বছরগুলিতে বহুবার ঝড়ের সাক্ষী থেকেছে সুন্দরবন, গোসাবা, সাগরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, নদী বাঁধের অবস্থা ভালো নেই। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে গ্রামের ভিতর জল ঢুকতে পারে। তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন