প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী হিসাবে CSIR-র শীর্ষ পদের দায়িত্ব পেলেন নল্লাথাম্বি কলাইসেলভি

তিনি শেখর মান্ডের পরিবর্তে নিয়োজিত হয়েছেন। শেখর মান্ডের অবসরের পর এতদিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন বায়োটেকনোলজি বিভাগের রাজেশ গোখলে।
নল্লাথাম্বি কলাইসেলভি
নল্লাথাম্বি কলাইসেলভিছবি - CSIR ট্যুইটার
Published on

ভারতের বৈজ্ঞানিক কাউন্সিলের শীর্ষপদে বসলেন একজন মহিলা বিজ্ঞানী। তিনি হলেন তামিলনাড়ুর নল্লাথাম্বি কলাইসেলভি। প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী যিনি দেশের ৩৮ টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহচার্যরূপে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR)-র ডিরেক্টর হলেন নল্লাথাম্বি। তাঁর এই সম্মান আবার প্রমাণ করল ভারতীয় মহিলারা কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। তিনি মূলত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কাজের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে তিনি তামিলনাড়ুর CSIR- সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিউটের ডিরেক্টর। তিনি ২ বছরের জন্য এই পদে নিয়োজিত হয়েছেন। শনিবার তাঁর নিয়োগের খবর জানায় মন্ত্রনালয়। নল্লাথাম্বি, শেখর মান্ডের পরিবর্তে নিয়োজিত হয়েছেন। শেখর মান্ডের অবসরের পর এতদিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন বায়োটেকনোলজি বিভাগের রাজেশ গোখলে।

২৫ বছরের বৈজ্ঞানিক জীবনে সাধারণত একটি লক্ষ্য স্থির করেই এগিয়েছেন এই মহিলা বিজ্ঞানী। তিনি ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল শক্তির দিকেই নজর দেন। বিশেষ করে বৈদ্যুতিন সামগ্রী, বিভিন্ন শক্তি সঞ্চয়কারী সরঞ্জামের ওপর বেশী গুরুত্ব দেন। তাঁর গবেষণার তালিকায় আছে মূলত লিথিয়ামের ব্যাটারি। এছাড়াও রয়েছে সুপারক্যাপাসিটর ও বর্জ্য থেকে উৎপাদিত শক্তি সমূহ। এখন তিনি সোডিয়াম-আয়ন/লিথিয়াম-সালফার ব্যাটারি ও সুপারক্যাপাসিটরের উন্নতির জন্য গবেষণা চালাচ্ছেন।

প্রথম বিজ্ঞান জীবন তাঁর ঐ ইনস্টিটিউট থেকেই শুরু হয়েছিল। বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তাঁর স্কুল জীবনে থেকেই শুরু হয়। নল্লাথাম্বি তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলার একটি ছোট স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ন্যশনাল মিশন ফর ইলেক্ট্রিক মবিলিটিতেও বিশেষ অবদান রাখেন। প্রায় ১৩০ টি গবেষণাপত্র ও ৬ টি পেটেন্ট রয়েছে নিজের কাজের জন্য। তিনি ২০১৯ সাল থেকে CECRI-এর ডিরেক্টর পদে বহাল আছেন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in