একাধিক গবেষণা থেকে যদিও দাবি করা হয়েছে যে, ওমিক্রন শুধুমাত্র হালকা রোগের কারণ, তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, ওমিক্রন কোভিড -১৯ এর ডেল্টা রূপের চেয়ে ‘কম গুরুতর’ এরকম কোনো প্রমাণ এখনও নেই।
যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের নেতৃত্বে নতুন গবেষণা জানাচ্ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট-এ পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৫.৪ গুণ বেশি।
গবেষকরা দাবি করেছেন "অনুমান করা হচ্ছে অতীত সংক্রমণের কারণে ওমিক্রন দ্বারা পুনরায় সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ১৯ শতাংশের মতো কম হতে পারে।”
পিয়ার-রিভিউ করা সমীক্ষায় গবেষকরা ২৯শে নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইংল্যান্ডে সমস্ত পিসিআর-নিশ্চিত SARS-CoV-2 কেসের তথ্য ব্যবহার করে ইংল্যান্ডে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা অনুমান করেছেন।
সামগ্রিকভাবে, ১,৯৬,৪৬৩ জনের S জিন লক্ষ্য ব্যর্থতা ছাড়াই (অন্য একটি ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে) এবং ১১,৩২৯ টি ক্ষেত্রে (ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে)। এই সমীক্ষায় SGTF (S gene target failure) বিশ্লেষণ করা হয়। সেইসঙ্গে ১,২২,০৬৩ জন ডেল্টা এবং ১,৮৪৬ ওমিক্রন সংক্রমণের SGTF বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রতিবেদনে ওমিক্রন (বেশিরভাগ ডেল্টা) ক্ষেত্রের তুলনায় ওমিক্রনের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত কারণগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
এই ফলাফল অনুসারে সমস্ত কোভিড সংক্রমণের মধ্যে ওমিক্রনের অনুপাত ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি দুই দিনে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছিল। একথা জানা গেছে এস-জিন টার্গেট ব্যর্থতা এবং জিনোটাইপ তথ্য থেকে। এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা অনুমান করেছেন যে, সমীক্ষার সময় ওমিক্রনের প্রজনন সংখ্যা (R) ৩-এর ওপরে ছিল।
এ ছাড়াও, প্রাক-ওমিক্রন সময়ে, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে যুক্তরাজ্যের গবেষণা অনুমান করছেন, আগের সংক্রমণের ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় কোভিড সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া গেছিলো। যদিও বর্তমান গবেষণায় দাবি করা হয়েছে আনুমানিক পুনঃসংক্রমণের ঝুঁকি ওমিক্রন-এর ক্ষেত্রে ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
"গবেষণায় ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের তীব্রতা কম এরকম কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যা মূলত উপসর্গের লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তিদের এবং সংক্রমণের পরে হাসপাতালের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুপাতের মাধ্যমে বিচার করা হয়।" গবেষকরা জানিয়েছেন, এবার হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা খুবই কম।
সর্বশেষ মডেলিং অনুসারে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মূলত অতীতের সংক্রমণ বা দুটি ভ্যাকসিন ডোজ থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়ায়।
ইম্পিরিয়াল কলেজ, লন্ডন থেকে অধ্যাপক নীল ফার্গুসন জানিয়েছেন, "এই গবেষণা খুব বেশি করে প্রমাণ করে যে, ওমিক্রন আগের সংক্রমণ বা টিকা – দুয়ের ক্ষেত্রেই পূর্বের অনাক্রম্যতা এড়াতে পারে৷ এই অনাক্রম্যতার অর্থ হল ওমিক্রন জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় এবং আসন্ন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
গবেষক দলের বক্তব্য অনুসারে, দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের ডোজের দুই বা তার বেশি সপ্তাহ এবং যাদের বুস্টার ডোজ (অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজার ভ্যাকসিনের জন্য) দুই বা তার বেশি সপ্তাহের আগে ডেল্টার তুলনায় লক্ষণীয় ওমিক্রন সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও, লক্ষণীয় ভাবে বুস্টার ডোজ-এর পরে ওমিক্রন সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে দাঁড়াবে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন