Bikash Sinha: প্রয়াত 'পদ্মভূষণ' প্রাপ্ত পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা, শোকের ছায়া বিজ্ঞান মহলে

শারীরিক অসুস্থতার কারণে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। ২০১০ সালে নিজের কাজের জন্য 'পদ্মভূষণ' সম্মানও পেয়েছিলেন।
প্রয়াত বিকাশ সিনহা
প্রয়াত বিকাশ সিনহাছবি - সংগৃহীত
Published on

বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা প্রয়াত। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। ৭৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।

'সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স'-র অধিকর্তা ছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা। পরমাণু গবেষণার ক্ষেত্রে দেশজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত কারণে কলকাতারই এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। হাসপাতাল থেকে দেহ মিন্টো পার্কের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে।

'ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার'-র 'হোমি ভাবা অধ্যাপক’' পদেও কাজ করেছিলেন বিশিষ্ট এই বিজ্ঞানী। ২০১০ সালে নিজের কাজের জন্য 'পদ্মভূষণ' সম্মানও পেয়েছিলেন। ২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-র বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও কাজ করেছিলেন। এছাড়া ২০১১ সালের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিলেবাস কমিটির উপদেষ্টা পদেও ছিলেন তিনি।

১৯৪৫ সালে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন বিকাশ সিনহা। তাঁর বাবার নাম বিমলচন্দ্র সিনহা। বিজ্ঞানীর দাদা অতীশ সিনহা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ভূমিকাও পালন করেছিলেন অতীশ সিনহা। তাঁরা মূলত মুর্শিদাবাদের রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন।

প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শুরু করেন। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। সেখান থেকে আরও ডিগ্রি অর্জন করেন বিকাশ সিনহা। কেমব্রিজ থেকে ফিরে 'ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার' (বার্ক)-এ কাজ করতে শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণার জন্য ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন। বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর প্রয়াণে ভারতীয় বিজ্ঞান মহলে শোকের ছায়া।

প্রয়াত বিকাশ সিনহা
Rahul Gandhi: ‘ভারতমাতা’ এখন অসংসদীয় শব্দ! সংসদে ফিরেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ রাহুলের
প্রয়াত বিকাশ সিনহা
Sitaram Yechury: কেন্দ্রের পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নষ্ট করবে - ইয়েচুরি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in