মহাকাশ থেকে এখনও ফেরেননি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযোগী আরেক মহাকাশচারী ব্যারি বুচ উইলমোর। কবে ফিরবে তাও জানাতে পারছে না নাসা। এদিকে ক্রমশ জ্বালানি শেষ হয়ে যাচ্ছে বোয়িং স্টারলাইনার। ফলে ফিরছে কল্পনা চাওলার স্মৃতি।
গত ৭ জুন সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোরকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল CST-200 Boeng Starliner মহাকাশযান। গত ১৪ জুন পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তারপর ১১ দিন কেটে গেলেও তাঁরা ফেরেননি। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশযান বোয়িং স্টারলাইনারের মধ্যে আর ২৭ দিনের জ্বালানি বেঁচে আছে। এই সময়ের মধ্যেই দুই মহাকাশচারীকে পৃথিবীতে ফেরাতে হবে।
এর আগে নাসা জানিয়েছিল ২৬ জুন পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে দুই মহাকাশচারীকে। কিন্তু বর্তমানে নাসার বিজ্ঞানী মহলের সাথে সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে বোয়িং স্টারলাইনারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে। এই মহাকাশযানের মধ্যে একাধিক যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল তা নাকি আগে থেকেই জানত নাসা এমন অভিযোগ উঠছে। সেই কারণেই কি মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরতে সময় লাগছে? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।
৫৯ বছর বয়সী সুনীতা এর আগেও দু’বার মহাকাশ অভিযানে গেছেন। একটি অভিযান ২০০৬ সালে এবং অন্যটি ২০১২ সালে। এর আগে তিনি উল্লেখযোগ্য স্পেসওয়াক পরিচালনা করেছিলেন এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার ও স্টেশন কমান্ডার হিসাবে কাজ করেছেন।
কল্পনা চাওলার সাথে কী হয়েছিল?
২০০৩ সালে ৭ জন মহাকাশচারীকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিল কলম্বিয়া। ১৪ দিন পর পৃথিবীতে ফেরার সময়ই ঘটে বিপত্তি। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের পরই চাপ ও তাপের কারণে আগুন লেগে যায় মহাকাশযানটিতে। ওই ৭ জন চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। বিস্ফোরণে যানটির বিভিন্ন অংশ টুকরো টুকরো হয়ে যায়। সাথে ৭ জন মহাকাশচারীরও মৃত্যু হয়। যার মধ্যে একজন ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী কল্পনা চাওলা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল এসটিএস - ১০৭। সেই স্মৃতি যাতে পুনরায় ফিরে না আসে তার জন্য সবরকম চেষ্টা করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন