সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোরকে মহাকাশে রেখেই পৃথিবীতে ফিরল তাঁদের বাহন বোয়িং স্টারলাইনার। শনিবার সকাল ৯.৩১ মিনিটে নিউ ম্যাক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস স্পেস হারবারে নামে ক্যাপসুলটি। নাসার পক্ষ থেকে অবতরণের ভিডিও লাইভ সম্প্রচার করা হয়। সুনীতা ও বুচকে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ফেরানো হবে বলে জানানো হয়েছে নাসার পক্ষ থেকে।
শুক্রবার বোয়িং স্টারলাইনারকে বিদায় জানান সুনীতা ও বুচ। বিজ্ঞানীদের দাবি, মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে নামার এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগে মোট ৬ ঘণ্টা। জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮.৫৮ মিনিট নাগাদ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ওই ক্যাপসুলটি। তার পর মাটি ছুঁতে তার সময় লাগে আরও ৪৪ মিনিট। অবতরণের সময় বায়ুমণ্ডলে থাকাকালীন যানটির হিটশিল্ড চালু রাখা হয়। এরপর একে একে খোলা হয় ৩টি প্যারাশুট। যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়িয়ে তা পৃথিবীর মাটি ছুঁতে পারে।
বোয়িং স্টারলাইনার পৃথিবীতে ফেরার আগে নাসার উদ্দেশ্যে বার্তাও দিয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস। তিনি বলেছেন, ‘‘ওকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নাও। সব ভাল হোক।’’
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন নাসার ক্যাপসুলে করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন সুনীতা ও বুচ। তাঁদের গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। আটদিনের মধ্যে কাজ শেষ করে পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ক্যাপসুলে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। মহাকাশযানটির থ্রাস্টার নামক এক বিশেষ যন্ত্র কাজ করছিল না। এ ছাড়া, হিলিয়াম গ্যাস লিক করছিল ওই স্টারলাইনার থেকে। এরপরেই নাসার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই ক্যাপসুলে করে ফেরানো হবে না দুই নভশ্চরকে।
নাসার পরিকল্পনা, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের যান পাঠানো হবে সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। তার আগে পর্যন্ত মহাকাশে গবেষণার কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই দুই আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা ও বুচ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন