হিমালয় ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ওহাদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালিয়ান জিওলজির ভূ-পদার্থবিদ অজয় পাল। এখন থেকেই সচেতন না হলে ভারতের বিরাট ক্ষতি হবে বলেও জানাচ্ছেন তিনি।
ভূমিকম্প ঠিক কখন হবে তা কেউ আন্দাজ করতে পারেন না। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যে কাজে জাপান পারদর্শী। তবে কিছু ক্ষেত্রে তীব্রতা বেশি থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আগামীদিনেও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে পারে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল। অজয় পালের কথায়, ভূমিকম্প আগামী সপ্তাহেই হতে পারে আবার আগামী ১০০ বছরেও হতে পারে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭ বা তার বেশিও হতে পারে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, হিমালয় পর্বত গঠিত হয়েছে ভারত ও ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে। সেক্ষেত্রে পুনরায় যে কম্পন হবে না তার কোনো মানে নেই। ভারতীয় প্লেটের ওপর ক্রমাগত চাপ পড়ছে ইউরেশীয় পাতের। সরকারের উচিত উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এই রাজ্যগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া। কম্পন বেশি হলে কী করণীয় তার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
অজয়বাবু আরও বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউট থেকে পার্বত্য অঞ্চলের গ্রামগুলিতে ও একধিক বিদ্যালয়ে দল পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা সকলকে ভূমিকম্প সম্পর্ককে সচেতন করবেন। ২৪ ঘন্টা ভূমিকম্পের গতিবিধি পর্যালোচনার জন্য হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে প্রায় ৬০টা ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লি সহ সংলগ্ন এলাকা। কম্পনের উৎসস্থল নেপাল। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায় কম্পনটির মাত্রা ৬.৩। কিন্তু ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার দাবি করে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬। এই ভূমিকম্পের জেরে ৬ জনের মৃত্যুও হয়েছে। সকলেই নেপালের বাসিন্দা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন