ফের ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপাল হলেও দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশ সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। কলকাতাতেও কম্পন অনুভূত হয়। এখনও পর্যন্ত নেপালে মৃতের সংখ্যা ১২৮ ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান করছে নেপাল প্রশাসন।
শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত ১১টা ৩২ মিনিট নাগাদ জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লি এনসিআর, অযোধ্যা, লখনউ সহ উত্তর ভারতের বেশকিছু স্থান। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন বাসিন্দারা। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের জাজরকোট। গভীরতা ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮.২ কিমি বা ৫.১ মাইল গভীরে।
সূত্রের খবর, নেপালে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়ি। এখনও পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। বাড়ির নীচে চাপা পড়ে আছেন অনেকেই। দ্রুত উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে নেপাল সরকার। পার্বত্য অঞ্চলগুলির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পা কমল ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। স্থানীয় সময় ১১টা ৪৭ নাগাদ পশ্চিম নেপালের জাজারকোট জেলার রামিডান্ডা গ্রামে প্রথম ভূকম্পন শুরু হয়। যা ভয়াবহ আকার নেয় পরে”।
অন্যদিকে কলকাতাতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রাত ১১টা ৩৯ নাগাদ কলকাতায় কম্পন হয়। কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কলকাতাবাসীও যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন।
তবে নেপালে ভূমিকম্প এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৫ সালে ভয়াবহ ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। সেবার ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৮। প্রায় ৯০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন