শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া সহ একাধিক কারণে ভারতে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটগুলিতে মোট আসন সংখ্যা কমতে কমতে এক দশকে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। ২০১৫-১৬ সাল থেকেই এই আসন সংখ্যা কমা শুরু হয়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (AICTE)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডিপ্লোমা স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ লাখ ২৮ হাজারে, যা গত দশ বছরে সর্বনিম্ন। যার মধ্যে এই বছর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আসন সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার।
২০১৪-১৫ সালে, যখন দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশনের রমরমা অবস্থা ছিল, তখন AICTE-অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলিতে মোট ৩২ লাখ আসন ছিল। কিন্তু এরপর থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সংখ্যা কমতে শুরু করে, যার জেরে শেষ সাত বছরে প্রায় ৪০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কোভিডে বিধ্বস্ত গত বছর বাদে, ২০১৫-১৬ সাল থেকে প্রতি বছর দেশে গড়ে ৫০টির বেশি ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট বন্ধ হয়েছে। এই বছর ৬৩টি কলেজকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে AICTE। গত দশ বছরে সবথেকে বেশি কলেজ বন্ধ হয়েছে ২০১৭-১৮ সালে, ৭৩টি এবং সবথেকে কম কলেজ বন্ধ হয়েছে ২০১১-১২ সালে, ১টি।
বন্ধের পাশাপাশি নতুন ইন্সটিটিউশন তৈরির অনুমোদনও দিচ্ছে AICTE। ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ সালে যথাক্রমে ১৪৩, ১৫৮ এবং ১৫৩টি নতুন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ সালে ৬২টি এবং ২০২১-২২ সালে ৫৪টি ইন্সটিটিউশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ২০১৯ সালে AICTE ২০২০-২১ সালে শুরু হওয়া নতুন ইন্সটিটিউশনগুলির ওপর দুই বছরের স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। আইআইটি হায়দারাবাদের চেয়ারম্যান বিভিআর মোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন একটি সরকারি কমিটির সুপারিশে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন