আন্টাকটিকায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিমশৈল ভাঙন

হিমবাহের ভেঙে পড়া অংশটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার লম্বা। এর প্রস্থ প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
এ-৭৬ হিমশৈল
এ-৭৬ হিমশৈল সৌজন্যে- ইওরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি
Published on

বিশ্বের সবথেকে বড় হিমশৈল ভাঙতে শুরু করেছে আন্টার্কটিকায়। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে এমন উদ্বেগজনক খবর প্রকাশ করা হয়েছে। উষ্ণায়নের প্রভাবে এ বার ভাঙন ধরল বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিমবাহে। আন্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার এই ছবি ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।

জানা যাচ্ছে, ভেঙে যাওয়া হিমবাহের অংশটি ছোটখাটো একটি দ্বীপের আকারের। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আন্টার্কটিকার বরফাবৃত সাগরে ভাসছে বিশালাকার এই বরফের টুকরোটি। হিমবাহের ভেঙে পড়া অংশটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার লম্বা। এর প্রস্থ প্রায় ২৫ কিলোমিটার। আকারে নিউইর্য়কের সবচেয়ে বড় দ্বীপ পুয়েতো রিকোর থেকেও বড় এই অংশটি।

যেহেতু গোটা বিশ্বের তুলনায় আন্টার্কটিকার উষ্ণায়নের হার অনেকটাই বেশি, সেই কারণে এত দ্রুতগতিতে পৃথিবীর বরফের চাদর ভেঙে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। নাসার ক্যামেরাতেও এই হিমবাহে ভাঙনের এই ছবি ধরা পড়েছে। এই হিমশৈলটির নাম এ-৭৬। নাসার অফিশিয়াল ইন্সাটাগ্রামে এই ছবিটি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যা দেখে একজন লিখেছেন, ‘মৃত্যুর মুখে ধরিত্রী’। এখনও পর্যন্ত ৮ কোটির বেশি মানুষের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহ ভেঙে পড়ার এই ছবি পৌঁছে গিয়েছে।

গবেষকদের মতে, এ ভাবেই যদি পৃথিবীর বরফের চাদর ভাঙতে থাকে তবে আগামী কয়েক বছরে সমুদ্রের স্তর কমপক্ষে ১.২ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। বলাই বাহুল্য, এমনটা হলে সমুদ্রপৃষ্ঠে থাকা বহু ভুখণ্ডই জলের তলায় ডুবে যাওয়ার উপক্রম হবে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in