বিশ্ব উষ্ণায়নের এই যুগে ওক ও পপলারের মতো এমন কিছু উদ্ভিদ আছে যা একটি বিশেষ যৌগ নিঃসরণ করে। ওই যৌগ দূষিত বাতাসে দূষণের মাত্রাকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি, বাতাসে সমস্যা-যুক্ত কণার উপস্থিতি এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরেও এই যৌগ বিশেষ ক্ষতিকারক ভূমিকা পালন করে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে।
রিপোর্ট বলছে, ওক ও পপলারের মতো কিছু গাছ রয়েছে যা আইসোপ্রিন নামক একটি বিশেষ যৌগ নিঃসরণ করে যা ইতিমধ্যেই দূষিত বাতাসকে আরও দূষিত করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু এখানে মজার বিষয় হল, ওই একই যৌগ গাছগুলিকে পোকামাকড় ও উচ্চ-তাপমাত্রার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করার সময় পরিস্কার বাতাসের গুনমাণকে আরও উন্নত করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গাছপালা থেকে নির্গত হওয়া এই আইসোপ্রিন হল পৃথিবীর দ্বিতীয়-সর্বাধিক হাইড্রোকার্বন। বিশ্বে সর্বাধিক নিঃসরিত হাইড্রোকার্বনের তালিকায় মানুষের মল থেকে নির্গত হওয়া মিথেনের পরেই এই আইসোপ্রিনের স্থান।
এই নিয়ে আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ সহনশীলতা বিভাগের অধ্যাপক টম শারকে জানিয়েছেন, “আমরা ঠিক কী চাই? উদ্ভিদরা আরও বেশি আইসোপ্রিন নিঃসরণ করুক যাতে তারা আরও বেশি সহনশীল হয়ে উঠুক? নাকি তারা আরও কম আইসোপ্রিন নিঃসরণ করুক যাতে বায়ু দূষণের উপরে ওই যৌগ খুব বেশি প্রভাব ফেলতে না পারে? ঠিক কী চাই আমরা? কোনটা আমাদের জন্য সঠিক ভারসাম্য হতে পারে?”
রিপোর্ট জানিয়েছে, এই আইসোপ্রিন যৌগটি কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং মোটরগাড়ির ইঞ্জিন থেকে উৎপাদিত নাইট্রোজেন অক্সাইডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এই বিক্রিয়ার ফলে ওজোন, অ্যারোসল ও অন্যান্য উপজাত যৌগ উৎপন্ন করে যা মানুষ ও উদ্ভিদ, দুইয়ের জন্যই অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন