Tupperware: দেউলিয়া ঘোষণার পথে জনপ্রিয় আমেরিকান সংস্থা টাপারওয়্যার

People's Reporter: বর্তমানে সংস্থার পাওনাদারের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের মধ্যে। সংস্থার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১ বিলিয়ন ডলার, দেনার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার।
টাপারওয়্যারের সামগ্রী, প্রতীকী ছবি
টাপারওয়্যারের সামগ্রী, প্রতীকী ছবিফাইল ছবি, সংগৃহীত
Published on

নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল আমেরিকান সংস্থা টাপারওয়্যার। মঙ্গলবার এই বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। বাজারে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া এবং গত কয়েক বছরে বিশাল অঙ্কের ক্ষতি হওয়ায় সংস্থার পক্ষ থেকে এই আবেদন জানানো হয়েছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে সিইও ল্যরি গোল্ডম্যান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরেই সংস্থার আর্থিক অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে গেছে। অর্থনৈতিক পরিবেশ ক্রমশ খারাপ হওয়ায় সংস্থার পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপ হয়েছে।

টাপারওয়্যার ব্র্যান্ডস কর্প এবং তার বেশ কিছু সহযোগী সংস্থা ব্যাঙ্করাপ্সি প্রোটেকশন এর চ্যাপ্টার ১১ অনুসারে মঙ্গলবার ডেলাওয়ারের ইউনাইটেড স্টেটস ব্যাঙ্করাপ্সি কোর্টে দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন জানিয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে এই সংস্থার পাওনাদারের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের মধ্যে। সংস্থার মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৫০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে, যেখানে কোম্পানির দেনার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার।

২০২১ এর তৃতীয় ত্রৈমাসিকের পর থেকে লাগাদার ৬টি ত্রৈমাসিকে টাপারওয়্যারের সামগ্রীর বিক্রি কমে গেছে। যদিও একাধিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কোনোভাবেই সংস্থার বিক্রি বাড়েনি। মূলত কোভিড এবং কোভিড পরবর্তী সময় টাপারওয়্যারের জিনিসের চাহিদা বেড়েছিল। সেইসময় বহু মানুষ এই সংস্থার রঙবেরঙের এবং বিভিন্ন আকৃতির আকর্ষণীয় প্লাস্টিকের টিফিন বাক্স ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন। ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ব্র্যান্ড। যদিও কোভিড পরবর্তী সময় কাঁচামাল থেকে শুরু করে সবকিছুর খরচ বেড়ে যাওয়ায় কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে টাপারওয়্যার।

গত কয়েকদিন ধরেই এই সংস্থাকে নিয়ে আলোচনা চলছে। যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও। শেষ পাঁচ দিনে এই সংস্থার শেয়ারের দাম পড়েছে ৫৬.০৪%। ১৯৪৬ সালে ইরল টাপার প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ২০২০ পরবর্তী সময়ে। এই বছরের জুন মাসে এই সংস্থা আমেরিকায় তাদের একমাত্র কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এর ফলে ১৪৮ জন কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। আমেরিকার কারখানা বন্ধ হবে ২০২৫-এর ১৪ জানুয়ারি। আমেরিকা ছাড়াও বেলজিয়াম, ব্রাজিল, ফ্রান্স, গ্রীস, জাপান, কোরিয়া, মেক্সিকো এবং ফিলিপাইন্সে এই সংস্থার কারখানা আছে। বিশ্বের প্রায় ৮০টি এই সংস্থার পণ্যসামগ্রী বিক্রি হয়।

টাপারওয়্যারের সামগ্রী, প্রতীকী ছবি
Namibia: এল নিলোর প্রভাবে ভয়ঙ্কর খরা, খাবারের যোগান দিতে পশু হত্যার সিদ্ধান্ত আফ্রিকার দেশে!
টাপারওয়্যারের সামগ্রী, প্রতীকী ছবি
R G Kar Protest: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে, ২৫ দেশের ১৩০টি শহরে পথে নামলেন প্রবাসীরা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in