নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতে ৪৫ হাজারের বেশি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করল ট্যুইটার। নিষিদ্ধ করা অ্যাকাউন্টগুলির জন্য দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল ভারত সরকার ও ট্যুইটারের মধ্যে। জুলাই মাসেই সেই সব অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার নিজেদের মাসিক প্রতিবেদনে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার খবর জানায় ট্যুইটার। তারা মোট ৪৫,১৯১ টি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে ট্যুইটার। শিশুদের ওপর যৌন হেনস্থা, ‘নন-কনসেন্সুয়্যাল ন্যুডিটি’ সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর অভিযোগে ৪২৮২৫ টি অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়েছে। বাকি ২৩৬৬ টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে জঙ্গি ক্রিয়াকলাপের অভিযোগ থাকায় সেগুলি নিষিদ্ধ করা হয়।
গোটা দেশজুড়ে ২৬ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ৮৭৪ টি অভিযোগ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁর মধ্যে আপাতত ৭০ টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জুন মাসে ট্যুইটার ৪৩,১৪০ ভারতীয় গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেয়।
ট্যুইটার একটি রিপোর্টে বলেছে, আমরা যখন নিজেদের প্ল্যাটফর্মে সকলকে নিজেদের মত প্রকাশে স্বাগত জানাচ্ছি, সেখানে এমন হুমকি, অমানবিক আচরণ ও অশান্তি ছড়ানোর কোনও সম্মতি দিই না।
২০২১ এর নতুন IT নিয়ম অনুযায়ী ৫ মিলিয়নের বেশি গ্রাহক থাকা বড় ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে মাসিক অভিযোগের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। ট্যুইটার তার ভারতীয় চ্যানেলের গ্রিভেন্সের অভিযোগ পায়। যাতে বলা হয় অভিযোগগুলি ভেরিফিকেশন, অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেসের সাথে সম্পর্কিত।
ট্যুইটারের প্রাক্তন নিরাপত্তা কর্তা পেইটার জাটকো অভিযোগ করেছিলেন, ভারত সরকার ট্যুইটারকে বাধ্য করেছে আর্থিক বিষয়ে নিজেদের এজেন্টদের বসাতে এবং সংবেদনশীল ব্যবহারকারীদের ডেটাগুলি অ্যাক্সেস করতে। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন