আবার কর্মী ছাঁটাই করেছে টুইটার। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক রিপোর্টে জানিয়েছে, প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী বা ২০০ জন কর্মীকে ছেড়ে দিয়েছে টুইটার।
২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর, ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ট্যুইটার অধিগ্রহণ করেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। তারপর থেকে অন্তত আট দফায় কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। বর্তমানে টুইটারে কর্মীদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২,৩০০।
রিপোর্টে উল্লেখ, ট্যুইটার অ্যাপ, অ্যাড সাপোর্টিং টেকনোলজি ছাড়াও প্রযুক্তি পরিকাঠামোর টিম থেকে কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অনেক কর্মীই শনিবার গভীর রাতে ইমেলে জানতে পেরেছেন যে, তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। অনেকে নিজেদের চাকরি হারানোর কথা টুইট করেও জানিয়েছেন।
যাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন টুইটার সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা - টুইটার ব্লু এক্সিকিউটিভ এথার ক্রফোর্ড (Esther Crawford)। তাঁর বরখাস্তের বিষয়টি টুইট করেছেন প্ল্যাটফর্মারের ম্যানেজিং এডিটর জো শিফার (Zoe Schiffer)।
টুইটার থেকে বরখাস্ত হওয়া অনেক কর্মচারীরা রিপোর্ট করেছেন যে, ছাঁটাইয়ের পূর্বে তাঁদের সাথে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। তাঁরা কেবল সিস্টেম থেকে লগ আউট হয়ে গেছে।
মার্সিন কাডলুচকা (Marcin Kadluczka), যিনি 'টুইটার ২.০’-এ বিজ্ঞাপন বিভাগের ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করতেন, তাকেও ক্রফোর্ডের মতো চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সংস্থার চরম অর্থ-সংকটের কথা জানিয়ে বরাবরই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে টুইটার। তবে, কতজন কর্মীকে মোট ছাঁটাই করা হয়েছে, তা নিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান এখনও জানা যায়নি। সূত্র মতে, মোট ৮ দফায় প্রায় ৪,০০০-এরও বেশি কর্মীকে ছেড়ে দিয়েছেন এলন মাস্ক।
প্রসঙ্গত, গত ১০ দিন আগে (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংস্থার খরচ কমাতে ভারতে ৩টি অফিসের মধ্যে ২টি বন্ধ করে দিয়েছে এলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থা। রাজধানী দিল্লি ও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের অফিসে তালা ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানকার কর্মীদের আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ (Work from Home) চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন