কেন্দ্রের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোয়াটসঅ্যাপ: রিপোর্ট

নতুন এই নিয়মকে 'অসাংবিধানিক' দাবি করে তাদের অভিযোগ, এর ফলে বিঘ্নিত হবে গ্রাহকদের গোপনীয়তা। কারণ, নয়া নিয়ম মেনে হোয়াটসঅ্যাপের প্রতি মেসেজের দিকে নজর রাখতে গেলে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ নিয়ম ভঙ্গ হবে।
কেন্দ্রের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোয়াটসঅ্যাপ: রিপোর্ট
Published on

সরকারের ইনফরমেশন টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন্স অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) রুলস ২০২১-এর বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে নতুন এই নিয়মকে 'অসাংবিধানিক' দাবি করে তাদের অভিযোগ, এর ফলে বিঘ্নিত হবে গ্রাহকদের গোপনীয়তা। কারণ, নয়া নিয়ম মেনে হোয়াটসঅ্যাপে করা প্রতিটি মেসেজের দিকে নজর রাখতে গেলে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ নিয়ম ভঙ্গ হয়ে যাবে। ফলে বিঘ্নিত হবে গোপনীয়তা। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি হোয়াটস অ্যাপের কোনো মুখপাত্র। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।

ভারতে মোদি সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া নীতির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে ফেসবুক, গুগল পেরেন্ট অ্যালফাবেট ও টুইটারের মতো 'টেক জায়ান্টরা'। চলতি সপ্তাহে টুইটারের অফিসে টুলকিট মামলায় পুলিশ যাওয়ার পরই দু'পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন আরও বাড়তে শুরু করেছে।

সরকার এইসব সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোকে কোভিড-১৯ মহামারী সংক্রান্ত ভুল তথ্য মুছে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের সমালোচনামূলক পোস্টগুলোও মুছে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এরমধ্যেই আজ ২৬ মে থেকে কেন্দ্রের নতুন নিয়মাবলী লাগু করা হয়েছে। এই নিয়ম না মানলে ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত করার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটস অ্যাপের বিশাল সংখ্যক গ্রাহক রয়েছে ভারতে। ক্রমাগত কেন্দ্রের চাপে পড়ে মেসেজিং সংস্থার ভবিষ্যতে এই দেশে ঠিক কতদূর, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমাও। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ডিজিটা‌ল কনটেন্ট সংক্রান্ত ওই নয়া নির্দেশিকা জারি করে তা কার্যকর করার জন্য ৩ মাস সময় দিয়েছি‌ল। সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে মঙ্গলবার। কোনও সাড়া মেলেনি এতদিন। কিন্তু এবার নড়েচড়ে বসেছে শীর্ষস্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা ফেসবুক। তৈরি গুগলও।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in