তাহলে কী ৪৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি এলন মাস্ক করবেন না? এমনটাই গুঞ্জন শুরু হয়েছে মাস্কের টুইট ঘিরে। তিনি টুইটারের শুদ্ধিকরণের বিষয়ে কার্যত দায়ী করলেন টুইটারের সিইও পরেশ আগারওয়ালকে।
কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল টেসলা কর্তা এলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করে টুইটার কিনতে চলেছেন। কিন্তু তাঁর দাবী ছিল টুইটারে যত ফেক বা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট আছে তা আগে বাতিল করতে হবে। কিন্তু টুইটার সেই কাজ করেনি বলে মাস্ক জানাচ্ছেন।
মঙ্গলবার টুইট করে তিনি জানান, “ভুয়ো বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২০ শতাংশ, যা টুইটারের দাবির থেকে ৪ গুণ অথবা তার থেকেও বেশী হতে পারে। আমার অফার মূলত টুইটারের নির্ভুল এসইসি ফাইলিং-এর ওপর ভিত্তি করে। গতকাল টুইটারের সিইও প্রকাশ্যে ৫ শতাংশের কম প্রমাণ দেখাতে অস্বীকার করেন। এই ডিল ততক্ষণ এগোবে না যতক্ষন পর্যন্ত তিনি (পরেশ আগারওয়াল) কাজটি সম্পন্ন করছেন”।
সূত্রের দাবি, টেসলা কর্তা হয়তো এখন কমদামে টুইটার কিনতে চাইছেন তাই জন্য এমন শর্ত চাপাচ্ছেন। গতমাসেই ট্যুইটার সংস্থার সাথে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল মাস্কের। এরপর থেকেই টেসলা কর্তা ট্যুইটার থেকে স্প্যাম বট সরানোর ব্যাপারে নজর দেন। ট্যুইটার সংস্থার দাবি, বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ট্যুইটারে মোট ৫ শতাংশের সামান্য বেশি ফেক বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে টেসলার পক্ষ থেকে সাময়িক ভাবে চুক্তি স্থগিত রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পর থেকেই ট্যুইটার সংস্থাকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। শেয়ার বাজারে প্রায় ২০ শতাংশ দাম কমেছে ট্যুইটারের। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন