আজ ১২ জুলাই পালিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড পেপার ব্যাগ ডে। প্লাস্টিকের আগ্রাসন থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে এবং বিশ্বের মানুষকে কাগজের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করে তুলতে আজ পৃথিবী জুড়ে এই বিশেষ দিন পালিত হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড পেপার ব্যাগ ডে ২০২৪
প্রতি বছর ১২ জুলাই বিশ্বজুড়ে পেপার ব্যাগ ডে পালিত হয়। বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের অতি ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি ক্রমশই বেড়ে চলেছে। নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য, বাড়ছে বায়ুদূষণ। তা ছাড়াও প্রতি বছর পৃথিবীর বুকে যে পরিমাণে প্লাস্টিকের বর্জ্য জমা হচ্ছে তাতে একদিকে দূষণ বাড়ছে। বিভিন্ন নদী নালা সমুদ্রে জমা হওয়া প্লাস্টিকের বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। এই পরিস্থিতিতে দূষণের হাত থেকে বাঁচতে, পরিবেশকে রক্ষা করতে বিশ্ব জুড়ে পরিবেশ বান্ধব কাগজের ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
কাগজের ব্যাগ তৈরির ইতিহাসে আজকের দিন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
১৮৫২ সালের এই দিনেই প্রথম কাগজের ব্যাগ তৈরির মেশিন তৈরি করেন এক স্কুল শিক্ষক ফ্রান্সিস ওলে। ১৮৫১ সালে তিনি এই ব্যাগ তৈরির মেশিন আবিষ্কার করলেও এই মেশিনের পেটেন্ট পান ১৮৫২ সালে। সেই সময় প্রতি ঘণ্টায় এই মেশিন ১,৮০০ ব্যাগ তৈরিতে সক্ষম ছিল। এই মেশিন নিয়ে ক্রমাগত কাজ করতে করতে তিনি ১৮৫৫ এবং ১৮৫৮ সালে আরও দুটি উন্নত মেশিন তৈরি করেন।
কী জানাচ্ছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি?
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি করতে যে পরিমাণ শক্তি খরচ হয় তার চেয়ে অনেক কম শক্তি খরচ করে কাগজের ব্যাগ তৈরি করা যায়। তাছাড়াও কাগজের ব্যাগ সহজেই পচনশীল হবার কারণে পরিবেশের ক্ষতির সম্ভাবনা কম। দ্রুত তা মাটির সঙ্গে মিশে যায় এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশ বান্ধব।
ওয়ার্ল্ড পেপার ব্যাগ ডে: ইতিহাস
ফ্রান্সিস ওলে ছাড়াও উইলিয়াম গুডেল নামক এক ব্যক্তি কাগজের ব্যাগ তৈরির মেশিনের পেটেন্ট পান ১২ জুলাই, ১৮৫৯ সালে। মার্গারেট এলোইস নাইট, যিনি "মাদার অফ পেপার ব্যাগ" নামেও পরিচিত, তিনি ১৮৭০ সালে কাগজের ব্যাগ তৈরির এক উন্নত মেশিন আবিষ্কার করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন