Supreme Court: প্রাক্তন বর্তমান MP, MLA-দের বিরুদ্ধে ১২১ মামলা বিচারাধীন, ৫৮টিতে হতে পারে যাবজ্জীবন

১২১টি মামলার মধ্যে ৫৮টিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত এইসব মামলায় চার্জ গঠন করা হয়নি এবং দীর্ঘদিন ধরে এইসব মামলা শম্বুক গতিতে চলছে। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রীম কোর্ট
সুপ্রীম কোর্টফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

প্রাক্তন এবং বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে স্পেশাল সিবিআই কোর্টে ১২১টি মামলা বিচারাধীন আছে। এই ১২১টি মামলার মধ্যে ৫৮টিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত এইসব মামলায় চার্জ গঠন করা হয়নি এবং দীর্ঘদিন ধরে এইসব মামলা শম্বুক গতিতে চলছে। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

এর আগে জানানো হয়েছিলো এই ধরণের মামলার মোট সংখ্যা ১৫১। যদিও পরে জানা গেছে এই সংখ্যা আসলে ১২১। টাইপের ভুলে এই সংখ্যা বিপর্যয়।

২০১৬ সালে দায়ের করা এক পিটিশনের ভিত্তিতে প্রকাশিত চতুর্দশ রিপোর্ট অনুসারে – “সিবিআই স্পেশাল কোর্টে ১২১টি মামলা বিচারাধীন আছে। যার মধ্যে ৫৮টিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। এর মধ্যে ৪৫টি মামলায় এখনও কোনো চার্জ গঠন করা হয়নি। যদিও বহুদিন আগেই এইসব অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।”

গত ১৯ আগস্ট এই বিষয়ে সিবিআই একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয়। যেখানে এই মামলাগুলির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে। সিবিআই-এর হাতে থাকা বিধায়ক এবং সাংসদদের বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলায় এখনও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

এই মামলাগুলোর মধ্যে সবথেকে পুরোনো মামলাটি পাটনার। যে মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছিলো ১২ জুন ২০০০ সালে। এই ঘটনা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আটকে থাকা এই ধরণের একাধিক মামলার কথা ওই বিবরণে আছে।

সিবিআই কোর্টে যে সব মামলা বিচারের জন্য ঝুলে আছে তার মধ্যে সাংসদদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৫৬। এরমধ্যে বর্তমান সাংসদদের বিরুদ্ধে মামলা আছে ১৪টি এবং প্রাক্তন সাংসদদের বিরুদ্ধে মামলা আছে ৩৭টি। অভিযুক্ত পাঁচ সাংসদ ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। বিধায়কদের ক্ষেত্রে এই ধরণের মামলার সংখ্যা ১২১। যার মধ্যে ৩৪ জন বর্তমান বিধায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়ক ৭৮ জন। অভিযুক্ত ৯ বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে।

ইডি-র দেওয়া হিসেব অনুসারে বর্তমান এবং প্রাক্তন মিলিয়ে মোট ৫১ জন সাংসদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ২০০২-এ মামলা আছে। যদিও এই রিপোর্টে কতজন বর্তমান এবং কতজন প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়ক আছেন তা স্পষ্ট করে বলা নেই।

গত ১০ আগস্ট শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বিস্তারিত বিবরণ পেশের জন্য কেন্দ্রকে শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এই বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি বিনীত শরণ এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত।

- with inputs from IANS

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in