ভারতের প্রতি ১০০ জন স্নাতকের মধ্যে ১৩ জন বেকার। কেন্দ্রের 'পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে'র করা রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি সংসদ ভবনে স্মোক ক্যান নিয়ে হামলার ঘটনা ফের একবার ভারতের বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
জানা গেছে সংসদে ওই যুবক-যুবতীরা শিক্ষিত হয়েও চাকরি পাচ্ছেন না। বেকারত্বের জ্বালাকে গোটা দেশের কাছে তুলে ধরার জন্য তাঁরা সংসদ ভবনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও দেশে বেকারত্বের সমস্যা কমছে বলেই দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সরকার বেকারত্ব ইস্যুকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঠিক সেই সময়ই সামনে এলো কেন্দ্রীয় এক সংস্থার করা রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত দেশে প্রতি ১০০ জন স্নাতকের মধ্যে ১৩ জন অর্থাৎ ১৩ শতাংশ বেকার রয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত স্নাতক বেকার ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী স্নাতক বেকারের হার সবথেকে কম চন্ডীগড়ে (৫.৬%)। তারপরেই আছে দিল্লি। দিল্লিতে স্নাতক বেকারের হার ৫.৭%। স্নাতক বেকারের হার সব থেকে বেশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে (৩৩%)। লাদাখে আছে ২৬.৫%, অন্ধ্রপ্রদেশে স্নাতক বেকারের হার ২৪%, রাজস্থানে স্নাতক বেকারের হার ২৩.১% এবং ওড়িশায় ২১.৯%।
এই তথ্যকে হাতিয়ার করে বার বার বিজেপি সরকারকে চাপে রাখতে চাইছে বিরোধীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ২০২৫ সালে ভারতের ৫ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতিতে প্রবেশ করার বিষয়ে। অবশ্য অর্থনীতিবিদদের মতে আগামী ২ বছরের মধ্যে ভারতের পক্ষে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি স্পর্শ করা প্রায় অসম্ভব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন