Press Freedom: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার দাবিতে প্রধান বিচারপতিকে ১৮ মিডিয়া সংগঠনের খোলা চিঠি

People's Reporter: সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধে পুলিশি হানা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে মিডিয়া সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে এদিনই এক চিঠি পাঠানো হয়।
বুধবার দিল্লিতে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ
বুধবার দিল্লিতে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশছবি - প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার এক্স হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

নিউজক্লিক ওয়েব সাইটের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধে পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে বুধবার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে দেশের ১৮টি মিডিয়া সংগঠন ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন গণসংগঠন। সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধে পুলিশি হানা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে মিডিয়া সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে এদিনই এক চিঠি পাঠানো হয়।

প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া চিঠিতে দেশের সংবাদমাধ্যম বা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের স্বাধীনতা রক্ষা করতে গণতন্ত্রের আরও এক অন্যতম স্তম্ভ বিচারবিভাগের এগিয়ে আসা উচিত বলে আবেদনে জানানো হয়েছে।

বুধবার বিকেলে দিল্লির প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া দপ্তরে বিক্ষোভ সভায় জড়ো হন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক বুদ্ধিজীবী সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ। একই দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।

গতকালের দিল্লীর বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ নাকভি, এইচ কে দুয়া, লেখিকা অরুন্ধতী রায়, রামচন্দ্র গুহ, মুকুল কেশবন, সিদ্ধার্থ বরদারাজন, স্নেহাশিস শূর, রাজেন্দ্র শর্মা, উর্মিলেশ, পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ প্রমুখ। এছাড়াও হাজির ছিলেন বিভিন্ন মিডিয়া সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠানো ১৮ টি সংগঠনের চিঠিতে জানানো হয়েছে, সরকার যেসব সাংবাদিকদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন পছন্দ করছে না তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া চালু করে দিচ্ছে। এভাবে আসলে সমগ্র মিডিয়া জগতকেই সন্ত্রস্ত করা হচ্ছে। দেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রোধের এই অভিযান চলছে।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আমরা জানি সাংবাদিকরা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা কখনোই আইনের ঊর্ধ্বে থাকতেও চাই না। কিন্তু সরকার থেকেই যদি সাংবাদিকের নানা ছুতোয় ভয় দেখানো হয় তবে তা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে খুব একটা স্বস্তির বিষয় হয় না।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আমরা সাংবাদিকরা এবং সংবাদ জগতের পেশাদার কর্মীরা যে কোন তদন্তে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু যেভাবে সাংবাদিকদের ফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিধি নিয়ম থাকা উচিত বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের সকলে হেচ্ছায় আজকে শুধু প্রধান বিচারপতিকে এই চিঠি লিখছি না। আমরা বলতে চাইছি, যিনি আদালতের বাইরে এবং ভিতরে সবসময়ে বলেছেন প্রেসের দায়িত্ব হলো নাগরিক গণতান্ত্রিক অধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবসময় সত্য কথা তুলে ধরা। কঠোর সত্য মানুষের সামনে প্রেস তুলে ধরলেই নাগরিকরা তাঁদের পছন্দ মত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। যাতে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।

এদিনের সভায় সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা জানান বিশেষ সেলে তাঁকে সারাদিন বসিয়ে রেখে শুধু দাঙ্গার ও কৃষক আন্দোলনের খবর কেন লিখেছি তা নিয়ে প্রশ্ন করে হয়েছে। অন্যান্য সাংবাদিকরা কীভাবে তাঁদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছে এবং ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই বিষয়ে জানান।

যে ১৮টি মিডিয়া সংগঠন এই যৌথ আবেদনে সই করেছে তার মধ্যে আছে ডিজিপাব নিউজ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ইন্ডিয়ান উইমেন প্রেস ক্লাব, প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া, ফাউন্ডেশন ফর মিডিয়া প্রফেশনালস, নেটওয়ার্ক অব উইমেন ইন মিডিয়া ইন্ডিয়া, চণ্ডীগড় প্রেস ক্লাব, ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জার্নালিস্ট, দিল্লি ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস, কেরালা ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস, বৃহন মুম্বাই ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট, ফ্রি স্পিচ কালেকটিভ মুম্বাই, মুম্বাই প্রেস ক্লাব, অরুণাচল প্রদেশ ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস, প্রেস অ্যাসোসিয়েশন, গুয়াহাটি প্রেস ক্লাব, ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়ন, কলকাতা প্রেস ক্লাব, ওয়ার্কিং নিউজ ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লুএনসিএ)।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে পাঠানো সম্পূর্ণ চিঠির প্রতিলিপি -

October 4, 2023

To,

D.Y. Chandrachud

Chief Justice of India

Supreme Court of India

Dear Chief Justice Chandrachud,

We write this letter as a voluntary and free coalition of organisations that represent the free press and who are committed to upholding the values of freedom of speech and expression enshrined in our Constitution.

This letter is an earnest plea to the sentinel on the qui vive, weather-beaten as that phrase may have become—an appeal from one institution that is essential for the exercise of freedom and democracy in India, to one that is Supreme and is sworn to protect the Constitution that enshrines those freedoms.

We write this letter conscious of the fact that it is addressed not just to the Chief Justice of India but to an incumbent who has said, within the court and outside, that the “press has a duty to speak truth to power and present citizens with hard facts enabling them to make choices that propel democracy in the right direction” and that India’s freedoms will be safe as long as journalists can play this role “without being chilled by a threat of reprisal”.

The fact is that today, a large section of journalists in India finds itself working under the threat of reprisal. And it is imperative that the Judiciary confronts Power with a fundamental Truth—that there is a Constitution to which we are all answerable.

On October 3, 2023, the Special Cell of the Delhi Police raided the homes of 46 journalists, editors, writers, and professionals seemingly connected in one way or another to the online news portal, NewsClick. The raids led to the arrest of two persons under various sections of the Unlawful Activities (Prevention) Act, and the seizure of mobile phones and computers without ensuring the integrity of their data—a basic protocol that is essential to due process. The invocation of UAPA is especially chilling. Journalism cannot be prosecuted as ‘terrorism’. Enough instances in history abound to tell us where that eventually goes.

During your time at the Supreme Court, you have seen how on numerous occasions, the country’s investigating agencies have been misused and weaponised against the Press. Sedition and terrorism cases have been filed against editors and reporters, and multiple, sequential and/or frivolous FIRs have been used as an instrument of harassment against journalists.

The purpose of addressing this letter to you is not to bypass or circumvent the process and procedure established by law. But when journalists are summoned and their devices seized in the name of investigation, there is an inherent malice in the process that must be checked.

Just as the police are obliged by the Constitution to state the grounds of arrest, it must equally be a precondition to questioning. In its absence, as we have seen in the NewsClick case, vague assertions about the investigation of some unspecified offence have become the grounds for questioning journalists about their coverage of, inter alia, the farmers’ movement, the government’s handling of the Covid pandemic and the protest against the Citizenship (Amendment) Act.

We do not say that journalists are above the law. We are not and do not wish to be. However, intimidation of the media affects the democratic fabric of society. And subjecting journalists to a concentrated criminal process because the government disapproves of their coverage of national and international affairs is an attempt to chill the press by threat of reprisal—the very ingredient you identified as a threat to freedom.

Wide powers of investigation are given to the state on the assumption of bonafides on the part of its agencies. Equally, a wide immunity against coercion must be read into the constitutional provisions of free speech, and methods must be devised against police overreach—especially given the repeated misuse of these powers. Far too much is at stake to test every case at the end of a trial which can last years.

Journalists arrested under UAPA can end up spending months, if not years, behind bars before they are even granted bail. We already have the case of Siddique Kappan before us; he was incarcerated for two years and four months before finally securing bail. The tragic death of Father Stan Swamy in custody is a reminder of how indifferent the authorities seem to have become towards human life under the guise of combating ‘terrorism’.

Our fear is that state actions against the media have been taken beyond measure, and should they be allowed to continue in the direction they are headed, it may be too late for corrective or remedial steps. It is, therefore, our collective view that the Higher Judiciary must now intervene to put an end to the increasingly repressive use of investigating agencies against the media.

Specifically, we would be obliged if the courts would consider:

1.    The framing of norms to discourage the seizure of journalists’ phones and laptops on a whim, as has been the case. The Supreme Court is seized of this issue in a writ petition filed by noted academics—Ram Ramaswamy & Ors. v. Union of India, W.P. (Crl) No. 138/2021 – and has not been satisfied by the affidavits filed by the Union of India in these proceedings. While the wheels of justice have been turning, the State has continued to act with impunity. The seizure of devices compromises our professional work. As the Supreme Court itself has observed (in the Pegasus matter), the protection of sources is an “important and necessary corollary” of freedom of media. But laptops and phones are no longer just official tools used to conduct official business. They have fundamentally become an extension of one’s self. These devices are integrated into our entire lives and have vital personal information contained in them—from communication to photographs to conversations with family and friends. There is no reason or justification that investigating agencies should have access to such material.

1.    Evolving guidelines for the interrogation of journalists and for seizures from them, to ensure that these are not undertaken as fishing expeditions with no bearing to an actual offence.

1.    Finding ways to ensure the accountability of State agencies and individual officers who are found overstepping the law or willfully misleading courts with vague and open-ended investigations against journalists for their journalistic work.

We, the undersigned, write this letter to your lordship after considerable thought and contemplation.

There have been many instances over the past few years when assaults on the free press by the State have required judicial intervention, and we continue to pursue such cases. But the developments over the past 24 hours have left us no option but to appeal to your good conscience to take cognisance and intervene before it is too late and an autocratic police state becomes the norm.

As journalists and news professionals, we are always ready and willing to cooperate with any bona fide investigation. However, ad hoc, sweeping seizures and interrogations surely cannot be considered acceptable in any democratic country, let alone one that has begun advertising itself as the ‘mother of democracy’.

Sincerely,

Digipub News India Foundation

Indian Women’s Press Corps

Press Club of India

Foundation for Media Professionals

Network of Women in Media, India

Chandigarh Press Club

National Alliance of Journalists

Delhi Union of Journalists

Kerala Union of Working Journalists

Brihanmumbai Union of Journalists

Free Speech Collective, Mumbai

Mumbai Press Club

Arunachal Pradesh Union of Working Journalists

Press Association

Gauhati Press Club

Indian Journalists Union (IJU)

Kolkata Press Club

Working News Cameramen's Association (WNCA)

বুধবার দিল্লিতে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ
NewsClick: ভারতে সংবাদমাধ্যমের ওপর 'আক্রমণ' - প্রতিবাদে নিউ ইয়র্ক টাইমস দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ
বুধবার দিল্লিতে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ
NewsClick: দিল্লি দাঙ্গা, কৃষক আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন? কংগ্রেস ভাল? সাংবাদিকদের প্রশ্ন পুলিশের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in