পথ কুকুরের আক্রমণে প্রয়াগরাজের ছাতনাগ এলাকায় ২১টি হরিণ ও একটি চিনকারা (বিশেষ প্রজাতির হরিণ) প্রাণ হারিয়েছে। ওই হরিণগুলি একটি বেসরকারি গেস্ট হাউসে ছিল।
ঘটনাটি ঘটেছে চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে। জানা গেছে গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকদিন খবরটি গোপন রেখেছিল। মৃত হরিণগুলির ময়নাতদন্ত যখন করা হয় তখনই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ওই বন্যপ্রাণীগুলোকে দেখাশোনা করত একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা ইউনিভার্সাল কেবল কোম্পানি লিমিটেড ১৯৮৮ সালে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে হরিণ পালনের অনুমতি পায়। গঙ্গার তীরে ৭০ একর জমিতে হরিণগুলি পালন করা হচ্ছিল। গেস্ট হাউসের নিরাপত্তা আধিকারিক ও হরিণ পালনকারী সহ মোট তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বনবিভাগের কর্তারা আটক করেছেন। এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, গেস্ট হাউসের দুটি নর্দমার সংযোগস্থলে একটি জায়গা খোলা ছিল। যেখান দিয়ে বাইরের কুকুর অনায়াসে ঢুকতে পারতো। অনুমান করা হচ্ছে কুকুরগুলি পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে এই মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটিয়েছে।
প্রয়াগরাজের ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার মহাবীর কৌজালগি বলেন, অধেশ কুমার (নিরাপত্তা অফিসার), লালচন্দ্র যাদব (হরিণ রক্ষাকারী) এবং জং বাহাদুর (নিরাপত্তা প্রহরী) নামের তিনজনকে জিজ্ঞাসা করার জন্য বনবিভাগ আটক করেছে।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন এর ন'টি ধারায় গেস্ট হাউসের ম্যানেজার, নিরাপত্তা রক্ষী, হরিণ পালনকারী এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন বিভাগ। ইউনিভার্সেল কেবিল কোম্পানি লিমিটেডের কর্তৃপক্ষকে একটি নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আমরা ক্যাম্পাসে এবং আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং এলাকার সিসিটিভি পরীক্ষা করে দেখছি। বন বিভাগ ও জেলা পুলিশ যৌথভাবেই সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত করছে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন