২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী ৫৪৩ জন সাংসদের মধ্যে ২৫১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ (৪৬.২) সাংসদ অপরাধমূলক মামলার সঙ্গে জড়িত। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR)-র রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এসেছে। যার মধ্যে ২৭ জনকে আবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তৃতীয়বারের জন্য দেশে সরকার গঠন করতে চলেছে এনডিএ। শুক্রবার এনডিএ-র বৈঠক থেকে নরেন্দ্র মোদীকেই নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এনডিএ শিবিরের সাংসদদের পাশাপাশি বিরোধী ইন্ডিয়া মঞ্চের সাংসদদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
এডিআর-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২৫১ জন সদ্য নির্বাচিত সাংসদের মধ্যে ১৭০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন, খুনের প্রচেষ্টা, অপহরণ এবং মহিলাদের উপর অত্যাচারের মতো গুরুতর মামলা রয়েছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ১৫৯। ২০১৪ সালে ১১২ জন সাংসদ এবং ২০০৯ সালে ৭৬ জনের বিরুদ্ধে এই ধরণের মামলা ছিল। চলতি বছরের ১৭০ জনের মধ্যে ২৭ জন খুন ও খুনের চেষ্টা সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জন শুধু খুনের মামলায় অভিযুক্ত।
এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছে ২৪০ জন সাংসদ। যার মধ্যে ৯৪ (৩৯ শতাংশ) জন সাংসদ হলফনামায় নিজেদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার বিষয়ে উল্লেখ করেছেন।
কংগ্রেসের হয়ে জয় লাভ করেছেন ৯৯ জন সাংসদ। এর মধ্যে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
সমাজবাদী পার্টির ৩৭ জন জয়ী সাংসদের মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে।
তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে ২৯টি আসনে। ২৯ জনের মধ্যে ১৩ জন (প্রায় ৪৫ শতাংশ) হলফনামায় ফৌজদারি মামলার উল্লেখ করেছেন।
শিবসেনা (একনাথ সিন্ধে)-র ৭ জন সাংসদের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
ঠাকরের শিবসেনার ন’জন সাংসদদের মধ্যে তিন জনের হলফনামায় ফৌজদারি মামলার উল্লেখ রয়েছে।
টিডিপির ১৬ জন জয়ী সাংসদের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে এবং ডিএমকে-র ২২ জনের মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে।
নীতিশ কুমারের জেডিইউ আসন পেয়েছে ১২টি। ১২ জন সাংসদের মধ্যে মাত্র দু’জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
শরদ পাওয়ারের এনসিপি (এসপি)-র আট জোন সাংসদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন