উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন গড়ে ৫ জন করে শিশু নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে তিনজন বালিকা। এক আরটিআইয়ের জবাবে একথা জানিয়েছে যোগী সরকার।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে কমপক্ষে ১,৭৬৩ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে। এর মধ্যে ১,১৬৬ জনই বালিকা, শতাংশের বিচারে ৬৬.১৩। এর মধ্যে ৯২ শতাংশেরই (১,০৭০) বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
তবে এই রিপোর্ট রাজ্যের মাত্র ৫০টি জেলা থেকে পাওয়া তথ্যের হিসেবে। ২ মাস বিলম্বের পরও বাকি ২৫টি জেলা এখনও কোনো তথ্য পাঠায়নি। এই ২৫টি জেলার মধ্যে লখনৌ, বারাণসী, গৌতম বুদ্ধ নগর, গোরখপুর, বরেলির মতো জেলাগুলো রয়েছে। সমস্ত জেলার তথ্য পাওয়া গেলে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন চাইল্ড রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নরেশ পারস, যিনি এই আরটিআই করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, "যদি সমস্ত জেলা তথ্য সংকলন করা হলে নিখোঁজ শিশুর প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হবে।"
নিখোঁজ শিশুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মেরুট। গত বছর ১১৩ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে গাজিয়াবাদ (৯২), সীতাপুর (৯০), মইনপুর (৮৬), কানপুর (৮০)।
আরটিআইয়ে জানা গেছে, গত বছর নিখোঁজ হওয়া মোট ১,৭৬৩ শিশুর মধ্যে ১,৪৬১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২০০ বালিকা সহ ৩০২ জন শিশু এখনো নিখোঁজ।
রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়ে পারস জানিয়েছেন, "এটা সত্যি যে উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন গড়ে ৫ জন করে শিশু নিখোঁজ হয়, এর বেশিরভাগই মেয়ে। বিষয়টা বেশ গুরুতর। মাসিক ভিত্তিতে প্রতিটি জেলার পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগকারী এবং তদন্তকারীদের উপস্থিতিতে নিখোঁজ শিশুদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা উচিত।"
প্রতিবেশী রাজ্য রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশেও এই বিষয়টি বেশ উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন নরেশ পারস।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, নিখোঁজ শিশুর ক্ষেত্রে অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইপিসির ৩২৪ ধারায় (অপহরণ) এফআইআর দায়ের করতে হবে পুলিশকে। চার মাসের মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করা না গেলে অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং দপ্তরের হাতে মামলাটি তুলে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন