করোনা আবহে গত দেড় বছরে লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পর্বের শেষে উৎসবের মরসুমে মানুষ আরও বেশি করে কাজ হারাচ্ছেন। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বুধবার যে মাসিক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে এমনই চিত্র উঠে এসেছে।
গত অক্টোবরে দেশে কাজ হারিয়েছেন ৫৫ লক্ষ শ্রমিক। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হলেও তথ্যপ্রযুক্তি, আবাসন, শিক্ষাক্ষেত্রে দেশে নতুন কর্মসংস্থান হয়নি। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, গত সেপ্টেম্বরে সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত ছিলেন ৪০ কোটি ৬২ লক্ষ শ্রমিক। অক্টোবরে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটি ৭ লক্ষে।
অক্টোবরে গ্রামে বেকারির হার বেড়েছে ৭.৬ শতাংশ। আর শহরে বেড়েছে ৭.৫ শতাংশ । বেকারির হার বৃদ্ধি ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী দিল্লি, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, বিহারেও। পাশাপাশি ১৫ বছরের উর্ধ্বে কোনও মানুষের কাজের খোঁজে থাকা হার কমেছে। কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার জন্য এই হার কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বর এই হার ছিল ৪০.৬৬ শতাংশ। অক্টোবরে তা কমে হয়েছে ৪০.৪১ শতাংশ।
রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, অক্টোবরে শহরে সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে সাত লক্ষ ১২ হাজার। এদিকে গ্রামে একই সময় দুটি ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ৬০ লক্ষ মানুষ।
এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কেআর শ্যামসুন্দর জানিয়েছেন, দেশে কৃষি সংকট ক্রমশ চরম আকার নেওয়ায় বেকারত্ব ক্রমশ বাড়ছে। রেগায় অর্থের অভাবে বহু রাজ্যে কর্মসংস্থান বন্ধ। গত জানুয়ারি মাসে বেকারের হার ছিল ৬.৫২ শতাংশ। তারপর ধাপে ধাপে ক্রমশ তা বাড়তে থাকে। এসবিআইয়ের সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, করোনা মহামারীতে অসংগঠিত ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন